ইনামুল হক, বসিরহাট: প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টার লাগাতার তল্লাশির পর অবশেষে উদ্ধার হল মণিপুরের ধসে নিখোঁজ বসিরহাটের সেনা জওয়ানের প্রাণহীন দেহ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মণিপুরের নোনি জেলায় টুপুল রেল ইয়ার্ডে রেললাইন পাতার কাজের সময় সেখানকার নিরাপত্তার কাজে কর্মরত ছিলেন বসিরহাটের মাটিয়া থানার ঘোড়ারাস কুলীনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ারাস উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শেখ মহিউদ্দিন।
সেই সময় অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে বিধ্বংসী ধসে ২৩ জন সেনা জওয়ানের সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তারপর থেকে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, আসাম রাইফেলস ও টেরিটোরিয়াল আর্মি। প্রায় ৪৮ ঘন্টারও বেশি লাগাতার তল্লাশি চালানোর পর শনিবার অবশেষে মাটির স্তূপের নিচে থেকে টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৭ ব্যাটালিয়নের সেনা জওয়ান শেখ মহিউদ্দিনের সহ মোট তিন সেনা জওয়ানের নিথর দেহ উদ্ধার করল উদ্ধারকারী দল। এই খবর জানার পরেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঘোড়ারাস উত্তরপাড়ার শেখ মহিউদ্দিনের পরিবারে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা তাদের নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। সেনা হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত চলবে। তারপর রবিবার আকাশপথে তাকে আনা হবে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে তার বাড়িতে।
নিহত সেনা জওয়ান মহিউদ্দিনের স্ত্রী রিমানা ইয়াসমিন ও তার দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আর এক ভাই মিরাজ উদ্দিনও মনিপুরে টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। কয়েক দিন আগে তিনি ঈদের ছুটি পেয়ে ফিরতে পারলেও রবিবার মহিউদ্দিন ফিরবেন কফিনবন্দী হয়ে।