পুবের কলম প্রতিবেদক: ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের হাসপাতালের জানালা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল রোগী। কার্নিশে বসে হাত পা নাড়াচ্ছে সে। তীব্র উত্তেজনা। তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, দমকল, ডিজাস্টার গ্রুপ।
আটতলার ব্লিডিংয়ের কার্নিশে বসে ওই রোগী। তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের কর্মীরা তাকে জানালা দিয়ে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু ওই রোগী কারুর কথা শুনছে না। ওপর থেকে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করছে। হাত পা নাড়ছে। স্কাই ল্যাডার তার কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি আবার সরে যাচ্ছেন। মানসিক রোগীর এই অভিব্যাক্তিকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের শৌচালয়ের জানালা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে ওই রোগী কার্নিশে গিয়ে বসে পড়ে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
অবরুদ্ধ রাস্তা। মল্লিকবাজারে কাছে যান চলাচলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মল্লিক বাজারের দিক থেকে শিয়ালদার দিকে গাড়ি যাচ্ছে। তবে শিয়ালদার দিক থেকে মল্লিক বাজারের দিকে গাড়ি আসার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ।
দমকল কর্মীরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু সেই রোগীর সেই কথায় কোনও কর্ণপাত করছে না। স্কাই ল্যাডার তার সামনে নিয়ে যাওয়া হলে সে দূরে সরে যাচ্ছে। আবার ওপর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো করছে। গদি পেতে রাখা হয়েছে। নীচে রয়েছে হাসপাতালের কর্মীরা।
এখনও খুব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে গোটা পরিস্থিতি। রোগীর কোনও কারণে হাত ফসকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাস্তায় যানযট ছাড়াও রাস্তায় বহু মানুষের ভিড় রয়েছেন। সকলেই তাকিয়ে আছে কখন এই বিপদ কাটবে সে দিকে।
দমকল থেকে ওই রোগীকে বিস্কুট, কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল দেখিয়ে নীচের নামানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ওই রোগী হাসপাতালের কার্নিশে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আবার বলছে ওপর থেকে লাফ দিয়ে পড়বে সে। নিজের হাতে করা চ্যানেল ইতিমধ্যেই খুলে ফেলেছে সে। হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে। সেই অবস্থায় রোগী বসে আছে কার্নিশের আট তলায়।
রোগীর পরিবারের লোকেরাও ইতিমধ্যেই এসেছে। তার পরিবারের একজনকে ল্যাডারে করে নিয়ে কার্নিশের সামনাসামনি আনা হয়। কিন্তু খুব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে ল্যাডারকে সরে যেতে বলে ওই রোগী।
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে জাল পাতা হচ্ছে পাঁচ তলার কাছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে রোগীকে নামানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।