শুভজিৎ দেবনাথ,ডুয়ার্স: ক’দিন ধরেই চলছে অবিরাম বৃষ্টি, ব্যাঙ খেয়ে খেয়ে বদহজম হবার জোগাড় প্রায়। শান্তি নেই কোথাও! রাতের বেলায় মাত্রা অতিরিক্ত বৃষ্টিতে যেনো জলমগ্ন হয়ে পড়লো শেষ ঠিকানাটাও। তাই কোনো রকমে শরীর ঢাকতে আশ্রয় নিয়েছিলো চা-বাগানের ঝোপের আড়ালে। কিন্তু শেষ রক্ষা সেখানেও হল না! অলস দুপুরবেলা গুটি কয়েক চা শ্রমিক এসে চটকে দিল বাকি শান্তিটাও।
অজ্ঞতা তাদের মজা বোঝাতে মনে করিয়েই দিতে হলো সেই ছোটবেলার পড়া “অ-এ অজগর আসছে তেড়ে”। না! এরপর তারা আর ভাবতে পারিনি চা পাতা তোলার কথা বরং আ-এ আতঙ্কে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালো যে যার।
ঘটনায় অজগর সাপের আতঙ্ক ছড়ায় ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা – বাগানের ১৮ নং সেকশনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গরুমারা নর্থ রেঞ্জের বনকর্মীরা। এরপর সেই বিশালাকার অজগর সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলে আতঙ্ক মুক্ত হয় ওই এলাকা।
অন্যদিকে, একই ব্লকের ভগতপুর চা – বাগানের কবর লাইনে এদিন একটি বাড়িতে সবজি খেতে জালের মধ্যে আটকে পড়ে আরেকটি অজগর সাপ। এরপর স্থানীয়রাই সাহস করে সাপটিকে উদ্ধার করে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মিদের হাতে তুলে দেয়। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বামনডাঙ্গা চা – বাগানের থেকে উদ্ধার করা অজগর সাপটি আনুমানিক ১৭ ফুট লম্বা, ভগৎপুর চা – বাগানের থেকে উদ্ধার হওয়া সাপটি আনুমানিক পাঁচ ফুটের। উদ্ধার হওয়া সাপ দুটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।