পুবের কলম প্রতিবেদক: বিধানসভা ভোটের পর প্রথমবার বাংলা সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর অমিত শাহ আসার আগেই বিজেপি বিধায়কদের মুখে ফের উঠল ‘বাংলা ভাগের’ দাবি। বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে সেই দাবি তুলেছেন। এবারেও অমিত শাহ আসার আগে সেই একই দাবিতে সোচ্চার হলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়কেরা। আর সেই সুর টেনেই উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনার জন্য রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে বাংলা ভাগের দাবিই শোনা গেল অমিত শাহের মুখে।
অমিত শাহ বলেন “উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মমতা দিদি সবসময় অন্যায় করেছেন। এখানে মেট্রো কর্পোরেশন বানাননি। বিদ্যুতের দাম, পেট্রলের দাম এখানে সবচেয়ে বেশি। গরিব মানুষরা এখানে আয়ুষ্মান যোজনার সুফল পায় না। উত্তরবঙ্গে কোনও ব্যবসা আসেনি। এখানে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী জনজাতির মধ্যে ভেদাভেদ করতে চায় তৃণমূল। আমরা সেটা হতে দেব না। অমিত শাহকে বলতে শোনা যায়, রাজবংশী এবং গোর্খাদের জন্য ব্যাটেলিয়ন বানানোর কথা বলা হয়েছিল, তার কি হল। একমাত্র বিজেপিই গোর্খাদের কথা ভাবে।’
অমিত শাহ ঢালাও উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, করোনেশন ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে চার লেন করিডর তৈরি হবে। গোরক্ষপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৫৪২ কিমি নতুন রাস্তা হবে। সেবক-রংপো রেললাইন হচ্ছে। ১৩০০ কোটি খরচে বাগডোগরা বিমানবন্দর আধুনিককরণ করা হবে। ৩৫০ কোটি ব্যয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন মডেল স্টেশনে রূপান্তিরত করা হবে। দার্জিলিংয়ের পর্যটন ব্যবসার প্রসার কাজ চলছে। জিটিএ নয়, সংবিধানের মধ্যে থেকেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশ্বাস দেন শাহ।
বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তেনজিং নোরগে ও পঞ্চানন বর্মার মূর্তি মাল্যদান করেন। এরপর সোজা শিলিগুড়িতে রেলওয়ে ইনস্টিটিউট মাঠে আয়োজিত সভায় পৌঁছে যান অমিত শাহ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, জন বারলা, রাজু বিস্তা, জয়ন্ত রায়, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা সহ দলের বহু নেতা-কর্মী।