পুবের কলম প্রতিবেদক বঙ্গ বিজেপিতে চলা মুষলপর্বে এবার বাগী নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির বর্তমান মুখিয়া কতটা যোগ্য তা নিয়েও পরোক্ষে খোঁচা দিয়ে বলেছেন– ‘সুকান্ত মজুমদার সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু ওঁর জানা উচিত– যাঁরা এতদিন আrেদালন করছেন– তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।’ পূর্বসূরির কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে খোঁচা খাওয়ার পরেও প্রতিক্রিয়া জানানোর সাহস দেখাতে পারেননি ‘কুর্সি’ নড়বড়ে হয়ে যাওয়া বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া। গত বছর পুজোর আগে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে মেঠো রাজনীতিতে আনকোরা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের হাতে বঙ্গ বিজেপির প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব সঁপেছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু জেপি নাড্ডা-অমিত শাহদের ওই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়েছে। সুকান্তর নেতৃত্বে বিধানসভা– লোকসভা থেকে পুরসভা-সব নির্বাচনেই পদ্ম শিবিরকে ভূমিশয্যা নিতে হয়েছে। জয় তো দূরের কথা– অনেক জায়গায় জামানত খোয়াতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের। ফলে বঙ্গ বিজেপির নব্য মুখিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা নিয়ে দলের অrদরে প্রশ্ন উঠেছে। গত আট মাসে নয়া বিজেপি সভাপতি বুঝিয়ে দিয়েছেন– তিনি ‘কাজের চেয়ে কথা বেশি’ নীতিতে বিশ্বাসী। আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে দল মুখ থুবড়ে পড়ার পরেই বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ– বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরারা নাম না করে সুকান্তকে নিশানা করেছিলেন। দলের গোষ্ঠীকোrদল নিয়ে এতদিন নীরব থাকলেও বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন– ‘দলের পুরনো নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না। মনে রাখতে হবে– এই পুরনো নেতাদের উপর বিশ্বাস করেই মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। লোকে আমাদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। মানুষ আশীর্বাদ করেছিল। এখন মানুষের সেই আত্মবিশ্বাস নেই। রাজ্যের লোক চায়– আমরা মাঠে নেমে আrদলন করি। সেই ভূমিকা পালন করতে না পারলে মানুষ আমাদের বিরোধী হিসেবে রাখবে কেন? অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। পরিকল্পনার অভাব– মনোবলের অভাব। ২০১৯ সাল পর্যন্ত যারা পার্টিকে দাঁড় করিয়েছেন– তারা মনে কষ্ট নিয়ে ঘরে বসে আছেন। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার্টির জন্য সময় দিতেন। তাদের হাতে এখন কোনও কাজ নেই। যোগ্য লোকদের বাদ দিলে কী করে চলবে?’