পুবের কলম প্রতিবেদক : মারাত্মক আর্থিক অবস্থা শ্রীলংকার। একদশকে এমন আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হয়নি এই দ্বীপ রাষ্ট্রকে। কোনওভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। স্বাভাবিক কারণেই বাড়ছে জনরোষ। দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করতেন ক্ষুব্ধ নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার সেই বিক্ষোভ সহিংস রুপ নেয়। শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। এমন সময় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভের পর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় রাতেই কারফিউ জারি করা হয়।
পুলিশ বলেছে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে থেকে ১ নারীসহ ৪৫ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া কয়েক সাংবাদিককেও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ, বিক্ষোভকারী, নিরাপত্তাকর্মী, সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। খবর শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর অনলাইনের।
পুলিশের মুখপাত্র এসএসপি নিহাল থালদুওয়া বলেছেন, কলম্বোর মিরিথানায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ৩১ পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতাল সিএনএইচ ও সাউথ টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের ঘটনায় তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র এসএসপি নিহাল থালদুওয়া বলেছেন, কলম্বোর মিরিথানায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ৩১ পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতাল সিএনএইচ ও সাউথ টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের ঘটনায় তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলম্বোর মিরিহানা আবাসিক এলাকায় রাজাপক্ষের বাসভবনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর একটি বাস ও পুলিশের গাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ করে ইট ছোড়ে।
স্বাধীনতার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্রে সবথেকে সংকটজনক অবস্থায় পড়েছে। শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ। দেশের সরকারের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেই। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ জরুরি পণ্য আমদানি করতে পারছে না সরকার। অন্ধকারে কাটছে দিন। স্ট্রিট লাইটও বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী পবিত্রা ওয়ানিয়ারাচ্চি। গ্যারেজে থাকা গাড়িগুলি থেকে ডিজেল বের করে জরুরী পরিষেবা চালানো হচ্ছে। জানান, পরিবহনমন্ত্রী দিলুম আমুনুগামা । হু হু করে বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। কাগজের সংকটে অনুষ্ঠিত হয়নি পাবলিক পরীক্ষা। বন্ধ হয়ে গেছে দৈনিক পত্রিকার ছাপা সংস্করণ। সরকারি হাসপাতালগুলি অস্ত্রোপচার বন্ধ। প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধও ফুরিয়ে গিয়েছে। গত দু’বছরে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে গেছে।