পুবের কলম প্রতিবেদক : আধিপত্যবাদের রুপ এক। সেই সহিংসতা। সেই রক্ত। সেই ধর্ষণ। যা এতদিনে ইয়েমেন দেখেছে, সিরিয়া দেখেছে, লিবিয়া, ফিলিস্তিন কিংবা ইরাক দেখেছে তেমনটাই দেখছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। যুদ্ধ মানেই উলুখাগরার প্রাণ যাওয়া। তা বিশ্বের যেকোনো ভুখনেই হোক। যুদ্ধর মধ্যে নোটিকটা থাকে না। তাতে কেবল সুপ্রিমেসি থাকে। তাই খুন যেমন সেখানে আমি কথা তেমনই ধর্ষণ। ইউক্রেনিয়ার মহিলা নাতালিয়া (নাম পরিবর্তিত ) জানালেন কিভাবে তাকে ধর্ষণ করেছে রুশ সেনারা।
তারা থাকতেন কিয়েভের কাছে একটা ছোট গ্রামে। বাড়ির বাইরে গোলযোগ শুনে বের হয়েছিলেন তাঁর স্বামী। হঠাৎ গুলির আওয়াজ। শব্দ শুনে বাইরে আসেন নাতালিয়া। দেখেন দুই রুশ সেনা বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। চিৎকার করে নাতালিয়া জানতে চান স্বামীর খবর। চোখ যায় গেটে। সেখানে পড়েছিল স্বামীর নিথর দেহ। ততক্ষনে সব শেষ। একজন কম বয়সী রুশ সেনা নাতালিয়ার কপালে ধরেন বন্দুকের নল। ঠান্ডা গলায় বলে , ‘আমি তোমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছি, ও নাৎসি ছিল।’ তারপর ঘরে ঢোকে। দু’জন মিলে লাগাতার ধর্ষণ করে। পাশের ঘরে ভয়ে কাঁটা হয়েছিল ছিল, কাঁদছিল।
নাতালিয়া বলেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের একজনকে চিনতে পেরেছেন। দ্য টাইমস অফ লন্ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন নাতালিয়া। লন্ডন টাইমস বলছে এই ঘটনার তদন্ত হবে। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল আইরিন ভেন্ডিকতোভা রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন। সে খবর সামনে এনেছে দ্যা টাইমস অফ লন্ডন, মস্কো অবশ্য ভেন্ডিকতোভার এই অভযোগ সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়েছে। ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে মস্কোর এই প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ পেয়েছিল।
নাতালিয়া বলেছেন আওয়ামী প্রথম মুখ খুলতে চাইনি। কিন্তু আমরা ননদ আমাকে বলেন, আর চুপ করে থেকো না। তুমি তো আর ওই গ্রামে থাকছ না। যা হয়েছে তা তুমি পুলিশকে জানাও। উল্লেখ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেক্রেটারি অফ স্টেট কন্ডোলিজা রাইস ২০০৮ সালে বলেছিলেন ধর্ষণ এবং অন্যান্য ধরণের যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তিনি।