পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আইন যতই বলুক না কেন প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারী ও পুরুষ নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করতে পারে, কিন্তু সমাজের রক্তচক্ষুর সামনে সব কিছুই তুচ্ছ! সমাজ তার রীতি-নীতি ধ্যানধারণা নিজের যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে সাজিয়ে নেয়। আর সেই সাজানো যুক্তি বেশিরভাগ সমইয়ে ‘শিখণ্ডী’ রূপে কাজ করে।
দলিত মেয়ে হয়ে সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে ভালোবাসে বিয়ে করেছিলেন ইউপিএসসি টপার টিনা দাভি। বিয়ে করেছিলেন মুসলিম প্রেমিক আখতার খানকে। তিনিও ছিলেন দাপুটে আইএএস অফিসার। তবে সেই প্রেমের বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। সেই সময় দলিত হিন্দু পরিবারের মেয়ে হয়ে মুসলিম পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সরব হয়েছিল। শিক্ষাগত যোগ্যতায় দুজনেই ছিলেন টপ। টিনা দাভি ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন আর স্বামী আখতার খান ছিলেন ইউপিএস পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তিনিও ছিলেন দাপুটে আইএসএস অফিসার। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। বন্ধুত্ব পরিণতি পায় প্রণয়ে। এর পর ২০১৮ সালে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে প্রণয়ে পরিণতি পেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দুজনে। পথচলা শুরু হয় টিনা ও আখতারের। কিন্তু বেশিদিন সেই বিয়ে টেকেনি।
তবে এবার ফের আরও একবার বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন টিনা। হবু স্বামীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন তিনি।
তবেও সেই আইপিএস অফিসারকেই বিয়ে করতে চলেছেন টিনা। তার স্বামীর নাম প্রদীপ দাওয়ান্ডে। তিনি ও একজন আইপিএস অফিসার। দুজনের ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে টিনা লিখেছেন, ‘তুমি এভাবেই হাসতে শিখিয়েছো আমাকে’। পাল্টা প্রদীপও টিনার একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘একসঙ্গে থাকাই আমার জীবনে সব থেকে বেশি আনন্দের।’ শোনা যাচ্ছে টিনার দ্বিতীয় বিয়ের আসর বসবে জয়পুরের। আগামী ২২ এপ্রিল দ্বিতীয় সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন টিনা আর প্রদীপ।
২০১৮ সালে টিনা আর আখতার খানের বিয়ে মেনে নেয়নি সমাজ। তাও তারা সব কটাক্ষ উড়িয়ে দিয়ে একসঙ্গে থেকেছেন ২০২০ সাল পর্যন্ত। এর পর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন তারা। ২০২১ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয়। তার পর একবছর পরেই ঘর বাঁধতে চলেছেন টিনা দাভি। এবার অবশ্য সমাজের মেনে নিতে কোনও সমস্যা হয়নি। তাই টিনা আর আখতারের বিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাথাব্যথার কারণ থাকলেও টিনা আর প্রদীপ দাওয়ান্ডে-এর বিয়ে নিয়ে খুশি সমাজ