পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ’আমাদের ভালো কাজ করা– মন্দ কাজ এড়িয়ে চলা– অন্যদের সম্মান করা এবং সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে উৎসাহিত করে ইসলাম ধর্ম।’ হ্যামট্রামকের মেয়র আমের গালিব
আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রামক শহর ইতিহাস তৈরি করল। আমেরিকার বুকে প্রথম কোনও শহর হিসাবে সম্পূর্ণ মুসলিম সরকার পেল হ্যামট্রামক। অর্থাৎ হ্যামট্রামকের প্রশাসনিক কর্ত্যব্যক্তিরা সবাই মুসলিম। ছোট্ট এই শহরটির জনসংখ্যা ২৮ হাজার এবং এই শহরটির দায়িত্ব যার কাঁধে রয়েছে তাঁর জন্ম ইয়েমেনে।
মুসলিম অভিবাসী হিসাবে বহু বছর আগে আমেরিকায় এসেছিলেন আমের গালিব। তবে আজ তিনি হ্যামট্রামকের মেয়র। জানুয়ারির ২ তারিখে সিটি কাউন্সিলের সবাইকে নিয়ে তিনি মেয়র পদে শপথ গ্রহণ করেছেন। তাঁর কথায়– ’আমি গর্ব বোধ করি– আমার দায়িত্ব অনেক বেশি– এজন্যই আমাদের অনেক বেশি কাজ করে প্রমাণ করতে হবে যে– অভিবাসী হিসাবে আমরা দেশের ব্যবস্থাপনা– জনসেবা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সফল হতে পারি।’
নভেম্বরের মেয়র নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন গালিব। এর মাধ্যমে হ্যামট্রামকের ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙে যায়। কারণ– এর আগে শহরটিতে যতজনই মেয়র পদে ছিলেন তারা সকলেই ছিলেন পোলিশ।
২.২ বর্গ মাইলের এ শহরটির শাসনভার ছিল পোলিশআমেরিকানদের কাছে। কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন– বর্তমানে শহরটির অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা আরবমুসলিম। নতুন বছরে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে শহরটিতে। কাউন্সিলর থেকে শুরু করে এ শহরের নতুন মেয়র সবাই মুসলিম। এক কথায় আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মুসলিম শাসিত শহর এটি। উল্লেখ্য– ১৮ বছর বয়সে গালিব ইয়েমেন থেকে একাই আমেরিকায় পাড়ি জমান। এখন তাঁর বয়স ৪২। তিনি আমেরিকায় মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে মেয়র গালিবের সামনে এখন অনেক কাজ। হ্যামট্র্যামকের আগের সেই সুসময় আর নেই। শহরটি ক্রমাগত ক্ষয়ে যাচ্ছে। অনেক কারখানাই বন্ধ। অনেকেই এই শহরটি ফেলে ডেট্রয়েট বা অন্য কোথাও চলে গেছেন। এভাবেই হ্যামট্রামক এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের শহর। মেয়র গালিব জানান– যে েকানও ইসলামাভীতিকে অগ্রাহ্য করে– নাগরিকদের সেবা প্রদানই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তিনি বলেন– ’সব ধর্মই পুণ্যের কথা প্রচার করে। ইসলাম আমাদের ভালো কাজ করা– মন্দ কাজ এড়িয়ে চলা– অন্যদের সম্মান করা এবং সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে উৎসাহিত করে।’