পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ারার ছট্টুগুনটা সেন্টারের বাসিন্দা মান্দাবা কুটুম্ব রাও। সফল ব্যাবসায়ী। সংসারে অভাব ছিল না কিছুই। কিন্তু ২০২০ এর ১৭ জুলাই থেকে তাঁর সংসারে নেমে আসে শূন্যতা। স্ত্রী চলে যান না ফেরার দেশে। অথচ এই স্ত্রীই ছিলেন তাঁর সবটা জুড়ে।তাঁর সাহায্য ছাড়া ব্যবসাতেও এমন সাফল্য আসত না।
এখন যেন গোটা ঘরটা গিলতে আসে। সব সময় মন খারাপ থাকে মান্দাবা কুটুম্বর। কাশি অন্নপূর্ণা দেবী ছিলেন আমার জীবনের আলো। তিনি আমার জীবনের স্তম্ভ। আমার সব সাফল্যের মুলে তিনিই ।তাঁর কারণেই আজ আমি এমন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর এইভাবে চলে যাওয়াটা আমি মনে নিতে পারছি না। বলেন রাও।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর জীবন তাঁর কাছে অর্থহীন বলে মনে হচ্ছিল। দুচোখে নেমে এসেছিল শূন্যতা। বাবার এই কষ্ট দেখে আর থাকতে পারেননি মেয়ে সাসইয়া। তিনি আমেরিকায় থাকেন।প্রতিদিন বাবাকে একটু একটু ক্ষয়ে যেতে দেখছিলেন মেয়ে।আর থাকতে না পেরে সিলিকন ওয়াক্সের তৈরি মায়ের মূর্তি উপহার দেন বাবাকে। বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এটি মোমের মূর্তি।ঠিক যেন জীবন্ত মানুষ। প্রাণে ভরপুর। কেবল স্পন্দনটুকুই নেই।
স্ত্রী যে জায়গায় বসে টিভিতে তাঁর প্রিয় অনুষ্ঠান দেখতেন সেই চেয়ারেই বসে রয়েছেন অন্নপূর্ণা। চোখ টিভির দিকে। পাশের চেয়ারে স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন রাও। আলতো করে ধরেন স্ত্রী হাত। এমনভাবে মূর্তি বানানো হয়েছে যাতে
অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়াচাড়া করলেও কোনো সমস্যা হয় না।
অন্নপূর্ণার পরনে সবুজ সিল্কের শাড়ি। হাতে সেই রঙেরই চুড়ি। গলায় ভারি হার। মেয়ে সাসইয়া জানিয়েছেন স্থানীয় ভাস্কর বি ভি এস প্রসাদ মায়ের এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন। এমন অসাধারণ উপহার দেওয়ার জন্য মেয়েকে বারবার আশীর্বাদ করেছেন বাবা। মেয়ে হয়ে বাবার এই যন্ত্রনা সে যে এমন ভাবে বুঝেছে তাতে মেয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি বাবা।