পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বৈচিত্র্যময় প্রাণী জগতের আর পাঁচটি প্রাণীর মত তারও নাম উঠে গিয়েছিল বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর তালিকায়। মাত্র সাত সেন্টিমিটার লম্বা সে। হাতের তালুতে অনায়াসে ধরে যায়। নাম মোরগ মাছ, বৈজ্ঞানিক নাম টেকিলা স্প্লিটফিন।চেষ্টার চিড়িয়াখানা এবং মেক্সিকোর একদল প্রাণী বিশেষজ্ঞর অবিরাম প্রচেষ্টায় আপাত রক্ষা, করা গিয়েছে এই বিরলতম প্রাণীটিকে।
দুদশক ধরে এক নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে মেক্সিকোর আগ্নেয়গিরির পাশে টিউচিটল্যান্ডের এক এলাকায়। মাছটির বিলুপ্তির পিছনে দূষণ এবং মানুষের গতিবিধির পরিসর বেড়ে যাওয়া যেমন একটি কারণ,এর পাশাপাশি অন্য প্রজাতির মাছেরা নির্বিচারে খেয়ে ফেলত টেকিলা স্পি্লটফিনকে।
মেক্সিকোর জীব বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তাঁদের পূর্বপুরুষেরা মাছটিকে ‘ছোট মোরগ’ বলে ডাকত। পরে তাঁরা দেখেন ধীরে ধীরে মাছটি কমে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে এই মোরগ মাছকে বাঁচানোর এবং তার বংশবৃদ্ধির সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রজননের জন্য শুরু হয় সম প্রজাতির মাছ খোঁজার কাজ।এই ভাবে ২০১২ সালে ৪৯ জোড়া টেকিলা একটি জলাশয়ে রাখা হয়। যা দুবছরে ১০ হাজার হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার মাছকে পরিবেশে ছেড়েও দেওয়া হয়। দেখা হচ্ছে, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে তারা বেঁচে থাকতে পারে কিনা।
জীব বিজ্ঞানীরা বলছেন এই মোরগ মাছ বা টেকিলা স্পিল্টফিন পরিবেশ বান্ধব মাছ। ডেঙ্গু থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডেঙ্গু ছড়ানো মশার লার্ভা খেয়ে এরা পরিবেশ বন্ধুর কাজ করে। তাই জীব বিশেষজ্ঞরা বলছেন অকারণে এই টেকিলা স্প্লিটফিন ব মোরগ মাছ কে হত্যা করবেন না।ওদের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে দিন।