পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নতুন বছরের শুরুতে সুখবর দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জানা গিয়েছে– ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে সেদেশে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এ খবর পাওয়ার পর থেকেই নতুন আনন্দে বর্ষ উদযাপন শুরু করে বিশ্বের কয়েকটি দেশ। অস্ট্রেলিয়া আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২২ সালকে স্বাগত জানায়।
দেশটির সিডনির আইকনিক হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউস নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আতশবাজি ও আলোর ঝলকানিতে রাঙা হয়ে ওঠে। এভাবেই ঐতিহ্যবাহী আতশবাজি প্রদর্শনে নতুন বর্ষবরণ ও ২০২১ সালকে বিদায় জানায় অস্ট্রেলিয়া।
ওমিক্রনের কারণে এখনও বিশ্বের অনেক দেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। তাই বিশ্বের পূর্ব থেকে পশ্চিমের অনেক দেশেই জমকালোভাবে নববর্ষ উদযাপন হয়নি। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আতশবাজির প্রদর্শন বন্ধ ছিল। এ বছর লন্ডন– প্যারিস– কুয়ালালা্মপুরে আতশবাজি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
১৯০৪ সাল থেকে টাইমস স্কোয়ারে বর্ষবিদায় ও নতুন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। তবে করোনার প্রকোপ এড়াতে গত বছর জমায়েত এড়ানোর নির্দেশনা জারি করে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
৩১ ডিসেম্বর রাতে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছানোর পরপরই একটি বল ফেলে নববর্ষের সূচনা ঘোষণা করা হয়।
আর সে দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করেন হাজারো মানুষ। প্রতিবছর সেখানে যে পরিমাণ ভিড় হয়– এবার তার চার ভাগের এক ভাগ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এদিকে– দক্ষিণ আফ্রিকা আকস্মিক রাত্রীকালীন কারফিউ তুলে নিয়ে নতুন বর্ষ পালনের সুযোগ দেয় মানুষকে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জনগণকে বর্ষবিদায়ের সন্ধ্যা উপভোগ করতে বলেন। অস্ট্রেলিয়ায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হলেও এশিয়ার দেশগুলোয় অনুষ্ঠান সীমিত ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যরাতে ঘণ্টা বাজানোর অনুষ্ঠান বাতিল হয়। জাপানে মাস্ক পরে সীমিত অনুষ্ঠানে যোগ দেয় জনতা।
চিন তাদের বিভিন্ন শহরে নববর্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখে। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভিড় এড়াতে ১১টি রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের জমায়েত বাতিল করা হয়।