পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্থানের রাজধানী শহর কাবুলে সেনা হাসপাতালে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫। আহত শতাধিক। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তা পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনার পিছনের আইসিসের হাত আছে বলে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করে তালিবান। পরে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস-খোরসান জঙ্গি সংগঠন।
তালিবান সরকারের দাবি হতা-হতের মধ্যে অনেক বিদেশি নাগরিক রয়েছে। ফের হামলার আশঙ্কায় কাবুল রেডিওতে তালিবান সরকার সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক থাকার আবেদন রাখে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা নাগাদ কাবুলের সবচেয়ে বড় সেনা হাসপাতাল সরদার দাউদ খান হাসপাতালে এই বিস্ফোরণ হয়। পর পর বিস্ফোরণে হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তালিবানের মুখপাত্র বিলাল কারিমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, আইএস-খোরসান জঙ্গিরা হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করেই হাসপাতালের মূল গেটের সামনে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটায়। তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, হামলা আটকাতে হেলিকপ্টার করে তালিবান বাহিনী আইএস জঙ্গির সংগঠনে ওপরে পালটা হামলা চালায়। ১৫ মিনিটের মধ্যে সব হামলাকারীকে খতম করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত আগস্ট মাসেও কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নারকীয় হত্যালীলা চালায় আই খোরসান জঙ্গি সংগঠন। প্রায় ১৫০ মানুষ প্রাণহানি ঘটে।
জঙ্গিদের নিশানায় বার বার উঠে এসেছে সরদার দাউদ খান হাসপাতালের নাম। ২০১৭ সালে এই হাসপাতালে হামলা চলে। সেইসময় ৩০ জনের মানুষের প্রাণহানি ও জখম হয় ৫০ জনের বেশি মানুষ। সেই সময় জঙ্গিরা চিকিৎকের পোশাক পরে এই হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনেও ছিল আইএস জঙ্গি সংগঠন। পরে সেই হামলার দায় স্বীকার করে তারা।