পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রাজিলের গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন। করোনা কালে ব্রাজিল একমাত্র দেশ যারা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। নির্বিচারে বন-জঙ্গল কেটে সাফ করার জন্যই এই অবস্থা বলে পরিবেশবিদ দের একাংশের ধারণা। ক্লাইমেট অবজারভেটরির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনাকালে বিধিনিষেধের কারণে সব কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হয়ে পড়ায় ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী নির্গমন ৭ শতাংশ কমেছে। কিন্তু ব্রাজিলে বেড়েছে। ব্রাজিল এ সময়ে ২.১৬ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমতুল্য গ্যাস নিঃসরণ করেছে। ২০০৬ সালের পরে এই পরিমান সর্বোচ্চ। এতে বলা হয়, ‘ব্রাজিলে বিশেষ করে আমাজান ফরেস্টে এই বৃদ্ধি সর্বাধিক।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালেপ্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো ক্ষমতা আসার পর থেকে কৃষি ও খনিজ অনুসন্ধানের জন্য সংরক্ষিত ভূমি উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বনাঞ্চল কেটে সাফ করার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বোলসোনারোর ক্ষমতাকালে ব্রাজিলের আমাজান ফরেস্টে এক বছরে ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি উজাড় হয়েছে। আয়তনের হিসাবে এটি লেবাননের সমান এলাকা। এক বছর আগে এই বনভূমি ধ্বংসের এলাকা ছিল ৬,৫০০ বর্গকিলোমিটার।