পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ একের পর বিতর্কে জড়াচ্ছেন NCB-র আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে। এবার ফের সমীরের দিকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ছুড়লেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের অভিযোগ, শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতারির দিন প্রমোদতরীতে ছিলেন এক আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়া। কিন্তু শুধুমাত্র বন্ধু হওয়ার জন্য তাকে গ্রেফতার করেননি এনসিবি প্রধান। ওই বন্ধুকে নাকি তার বান্ধবীকে নিয়ে পার্টিতে নাচতে দেখা গিয়েছিল বন্দুক হাতে। কিন্তু শুধুমাত্র NCB-কর্তার বন্ধু হওয়ার জন্য মাদককাণ্ডে রেহাই পান তিনি।
বুধবার এ নিয়ে নবাব মালিক সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, আন্তর্জাতিক এক মাদক মাফিয়া নিজের প্রেমিকার সঙ্গে ছিলেন প্রমোদতরীতে। তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে তিনি বন্দুক হাতে সে সময় নাচছিলেন। নবারের আরও অভিযোগ, এই সমস্ত ঘটনার খবর জানতেন এনসিবি কর্তারা। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই মাফিয়ার দাড়ি ছিল। পরে আমি আরও জানাব। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের একের পর নিশানায় জর্জরিত এনসিবি প্রধান।
উল্লেখ্য, আরিয়ান কাণ্ডে চাপের মুখে এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছেন মাদক মামলার সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল। তিনি জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে তাকে মিথ্যা মামলায় সাক্ষী দিতে চাপ দেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। তাই এবার তদন্তের মুখে এনসিবি কর্তা।
সোমবার মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে NDPS আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন NCB-র আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে।
প্রমোদতরী মাদক কাণ্ডে সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, আরিয়ান খান মামলায় সমীরের ওয়াংখেড়ের সঙ্গে ৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে, এমনকী তাকে হত্যা করা হতে পারে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন প্রভাকর।
এমনকী প্রভাকর জানান, তাকে গত ৩ অক্টোবর NCB-র দফতরে ডাকা হয়েছিল। সেইদিনও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে সমীর ওয়াংখেড়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার স্ত্রী ক্রান্তি রেদকার। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন সৎ পুলিশ অফিসার। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না বলেও জানিয়ে দেন। তবে ক্রান্তি বলেন মহারাষ্ট্র সরকারে প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস আছে।
একের পর এক অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে NCB। এরপরেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।