পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাস্তায় রোদ-ঝড় বৃষ্টিতে লোকের সামনে হাত পেতে উপার্জন করেই কোন রকমে দিন কাটত চিন্নাকান্নুর। পাঁচ বছর ধরেই এইভাবেই একটু একটু করে ৬৫ হাজার টাকা জমিয়েছিল চিন্নাকান্নু। তামিলনাড়ুর চিন্নাগাউন্ডানুর গ্রামে এইভাবে মানুষের উপেক্ষা তাচ্ছিল্য নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করেই পেট চালাচ্ছিল ৭০ বছরের অন্ধ ভিখারি চিন্নাকান্নুর। এইভাবেই কোনরকমে তার দিন যাপন।
এদিনে এর মধ্যেই ২০১৬ সালে দেশে নোটবন্দি হয়। পুরাতন টাকা সব বাতিল হয়ে যায়। এদিকে চিন্নাকান্নুর কাছে খবর নেই নোটবন্দির! এতদিন পরে সে বুঝতে পেরেছে সে কি ভুল করেছে। জমানো ৬৫ হাজার টাকার আজ আর কোনও মূল্য নেই। কারণ সেই পুরনো নোট আজ বাতিল। এর অবস্থায় তার কাছে রয়েছে খালি ৩০০ টাকা। এই অবস্থায় জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত ঘটনায় জানিয়েছে ৭০ বছরের চিন্নাকান্নু। জেলাশাসক চিন্নাকান্নুর কাছ থেকে টিপ সই নিয়ে জেলা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক আবেদনটি জেলা লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে পাঠানো হয়। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মুদ্রা বিনিময় অসম্ভব।
কারণ আরবিআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পুরনো নোট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ। কাজেই সেই মেয়াদ অনেকদিন আগেই শেষ হয়েছে। জেলাশাসক কন্নায়ন জানিয়েছেন, স্থানীয় এক মুচি (জুতো সেলাই করে যে) চিন্নাকান্নুর কিছু টাকা ভাঙিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ওই ৭০ বছরের বৃদ্ধ চিন্নাকান্নুর’ র শেষ সম্বল মাত্র ৩০০ টাকা। কাজেই এই বয়সে সে কিভাবে থাকবে সেটাই তার কাছে এখন বড় চিন্তা। জেলার প্রধান ব্যাংকে পক্ষ থেকে এই বিষয়টি রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আপাতত রিজার্ভ ব্যাংকের উত্তরের অপেক্ষায় চিন্নাকান্নু।