পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানে শীঘ্রই খুলছে মেয়েদের স্কুল। এমনটাই জানিয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সম্প্রতি ছেলেদের স্কুল খোলা হয়। তখনই মেয়েদের স্কুলগুলি কেন খোলা হল না, তাই নিয়ে সরব হয় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আগেই জানিয়েছিলেন শীঘ্রই খোলা হবে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলি।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সাইদ খোসতি জানিয়েছেন, শীঘ্রই খোলা হবে মেয়েদের স্কুলগুলি। তার দিনক্ষণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হবে। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা কাই সাইদ খোসতির দেওয়া বিবৃতি প্রকাশ করে।
কারি সাইদ খোসতি জানিয়েছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সব বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল খুলে দেওয়া হবে। সব মেয়ে ও নারীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও শিক্ষকতার পেশায় ফিরে যেতে পারবে।
কাবুল দখল নেওয়ার পরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে দেশটির অর্থনীতি ধসে পড়েছে, দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। এই অবস্থায় দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে তালিবানের নতুন সরকার। এই অবস্থার মধ্যেই তারা ছেলেদের স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করে। ঠিক তখনই প্রশ্ন ওঠে এ কেমন বিচার ছেলেদের স্কুল খোলা হলেও মেয়েদের স্কুল খোলা নিয়ে তালিবানের পক্ষ থেকে কেন কিছু বলা হচ্ছে না? এদিকে তালিবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ’ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়েদের স্কুল বন্ধ রাখায় ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল তালিবানের প্রথম আমলের মতোই মেয়ে ও নারীদের শিক্ষা ও কর্মের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে। এই পরিস্থিতি সমালোচিত হয় তালিবান। তালিবানের শুধু ছেলেদের স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকর্তারা জানান, এর আগের তালিবানের শাসনকালের (১৯৯৬-২০০১) পুনরাবৃত্তি হবে না। এবার মেয়েদের শিক্ষাকে তারা নিষিদ্ধ করবে না। মেয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে শ্রেণিকক্ষে বসতে পারবে