পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-র জন্ম ও তিরোধানের মাস হিসেবে রবিউল আওয়াল মুসলিম মানসে বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। এই মাস মুসলিম উম্মাহকে উজ্জীবিত করে– নবী-প্রেমের চেতনা বোধকে জাগ্রত করে। প্রত্যেক মুসলিম তার অন্তরের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-র প্রিয় নাম। নবী করীম সা.-র প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করা ঈমানের দাবিও বটে। প্রিয় নবী সা.-র প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের পথ হল তাঁর দেখানো পথে চলা– তাঁর রূপে যাওয়া সুন্নাহ বা আদর্শের অনুসরণ। মানবতার দিশারী হযরত মুহাম্মদ সা. শান্তির দূত হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ্তায়লা বলেন, ‘আমি তো তোমাকে বিশ্ব-জগতের প্রতি কেবল আশিস রূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আম্বিয়া– আয়াতঃ ১০৭) তাই আমরা দেখি বাল্যকাল থেকেই তাঁকে আরবীয়দের মানবতা বোধকে জাগ্রত করতে– যুদ্ধ বিগ্রহের নামে মানুষের নিধনযজ্ঞ বন্ধ করতে। গোত্রগুলোর মধ্যে সংঘাত বন্ধের উদ্যোগ নেন তিনি। হিলফুল ফজুল ভ্রাতৃসঙ্গে কার্যক্রম তার বড় প্রমাণ। নিষিদ্ধ যুদ্ধের রক্তক্ষয়ী বিভীষিকার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয় হিলফুল ফজুল।