পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা হয়েছে। এ বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক এ পুরস্কার জিতেছেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শান্তিতে নোবেলজয়ী দুজনের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গণতন্ত্র ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষায় ভূমিকা রাখায় মারিয়া রেসা ও দিমিত্রি মুরাতভকে এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোবেল কমিটি।’
নোবেল কমিটি এ যুগলকে ‘এমন ভূমিকা রাখা সব সাংবাদিককের প্রতিনিধি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
রেসার ব্যাপারে কমিটির তরফ থেকে বলা হয়, ফিলিপাইনের অনলাইন নিউজ পোর্টাল র্যাপলার ( Rappler) – এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা রেসা তাঁর মাতৃভূমি ফিলিপাইনে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, সংঘাত বাঁধিয়ে দেওয়া এবং ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদের উন্মোচনে’ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে প্রশংসনীয় স্থান লাভ করেছেন।
অন্যদিকে মুরাতভের বিষয়ে বলা হয়, ‘নোভাজা গাজেতা’ পত্রিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও টানা দুই যুগের প্রধান সম্পাদক মুরাতভ ‘ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও’ কয়েক দশক ধরে রাশিয়ায় বাকস্বাধীনতা রক্ষায় লড়াই চালিয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তাঁর লেখায় ফুটে উঠে ঔপনিবেশিকতার দুর্দশা আর শরণার্থীদের কষ্টের গল্প। নোবেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঔপনিবেশিকতার প্রভাব নিয়ে আপসহীন ও সহানুভূতিশীল লেখনীর জন্য আবদুলরাজাক গুরনাহকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি ও মহাদেশগুলোর শরণার্থীদের ভাগ্য নিয়েও কলম ধরেছেন তিনি। তানজানিয়ার নাগরিক আবদুলরাজাক গুরনাহ বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাস করেন। তিনি মূলত ইংরেজিতে লেখেন। তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে প্যারাডাইস (১৯৯৪)– বাই দ্য সি (২০০১)– দ্য লাস্ট গিফট (২০১১)– আফটারলাইভস (২০২০) ইত্যাদি। ‘প্যারাডাইস’ উপন্যাসটির জন্যই তিনি লাইমলাইটে আসেন।