পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্বাসরোধ করে খুন করে চপার দিয়ে দেহ টুকরো। শরীর থেকে ছাড়ানো হয় চামড়া, পরে দেহাংশ ফেলা হয় পোলেরহাটে, বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডির হাতে। আনোয়ারুল আজীমকে খুন করার পরে যে ‘কসাই’ তার দেহ টুকরো করেছিল বলে অভিযোগ, তাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার কসাই জিহাদকে আটক করে একটানা জেরা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে ডাকা হয়েছিল বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুলকে। সেখানেই তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় এই কসাই জিহাদের সাহায্যে। প্রমাণ লোপাট করতে কুচি কুচি করে দেহ কেটে তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীর থেকে তুলে ফেলা হয়েছিল চামড়াও। হাড় আলাদা করে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে যে, আখতারুজ্জামানের শাহিনের নির্দেশে সে সহ চারজন মিলে সাংসদ আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তারপর ওই ফ্ল্যাটের মধ্যেই পুরো শরীর থেকে সব মাংস আলাদা করে জিহাদ মাংসের কিমা করে তারপর তা কিছু পলিথিনে রেখে দেয়। হাড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করা হয়। পরে সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ব্যবহার করে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে সিআইডি ও পুলিশের হাতে আটক হয় জিহাদসহ ট্যাক্সি ক্যাব চালক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পোলেরহাট থানার কৃষ্ণমাটি এলাকার একটি খালে মরদেহের কিছু অংশ ফেলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি জানিয়েছে, মরদেহের মাংস একেবারে কিমা এবং হাড়গুলোরও ছোট ছোট টুকরো করা হয়েছিল। ফলে মরদেহের সব অংশ উদ্ধার একেবারেই অসম্ভব।