পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কর্ণাটকের বেলাগাভি হত্যা মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে ২৪ বছর বয়সী আরবাজকে হত্যা করিয়েছে তাঁর বান্ধবীর বাবা এবং মা। তারাই সুপারি কিলার দিয়ে এই নৃশংস হত্যা করিয়েছে। মুণ্ডুহীন আরবাজের দেহ পড়ে ছিল রেললাইনে। সারা শরীর ছিন্নভিন্ন। রেললাইনের ওপর রাখা ছিল মুণ্ডু। সে ছবি দেখলে আঁতকে উঠবেন যে কেউ।
পুলিশ অভিযুক্ত পুণ্ডালিকা মহারাজ(৩৯) , কুতুবুদ্দিন আল্লাহবক্স (৩৬), সুশীলা ইরাপ্পা ( ৪২), মারুথি প্রহ্লাদ (৩০), মঞ্জুনাথ ঠুকরাম (২৫), গণপতি জ্ঞানেশ্বর (২৭)
ইরাপ্পা বাসবন্নি কুম্বারা (৫৪ ), প্রশান্ত কল্লাপ্পা (২৮ ), প্রবীণ শঙ্কর (২৮ ) এবং শ্রীধর মহাদেব দনিকে গ্রেফতার করেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর বাড়ি ফেরেননি আরবাজ। পরের দিন খানাপুরার কাছে রেললাইনে তার বিচ্ছিন্ন দেহ পাওয়া যায়। মা নাজিমা শেখ অভিযোগ করেছেন হিন্দু মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
বেলাগভি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) লক্ষ্মণ নিম্বার্গি জানান , আরবাজের বান্ধবীর বাবা -মা ইরাপ্পা এবং সুশীলা ইরাপ্পা আরবাজকে হত্যার জন্য লোক ভাড়া করেছিলেন বলে অভিযোগ। পুন্ডালিকা এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। আরবাজকে খুনের জন্য যে আগে থেকেই লোকজন ঠিক করে রেখেছিল। দলটা সেই পাকিয়েছিল।
বেলাগভীর আজম নগরের বাসিন্দা আরবাজ ছিলেন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট যিনি বেলাগভি শহরে গাড়ির ডিলার হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর, পুন্ডালিকার কথা মত আরবাজ এবং তার মা খানাপুরে গিয়েছিলেন। তারপর, আরবাজ এবং তার মাকে সে হমকি দেয়। ভিন ধর্মে প্রেম করলে কি ভয়ানক পরিণতি হতে পারে সে বিষয়ে সাবধান করে। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে মা তাদের সামনেই আরবাজের ফোন থেকে মেয়েটির সমস্ত ছবি মুছে ফেলেন। ভেঙে ফেলেন সিমকার্ড।
২৮ সেপ্টেম্বর, ঠান্ডা মাথায় খুনের ছক কষে আরবাজকে ডাকে পুন্ডলিকা। তার আগেই মেয়েটির বাবা-মা আরবাজকে এই দুনিয়া থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে পুন্ডলিকাকে টাকা দেয়। আরবাজ বিপদের আঁচ করেছিল। কিন্তু না এসে উপায়ও ছিল না। আরবাজ যেই তাদের ডেরায় আসে অমনি তার সমস্ত কিছু ওরা লুঠ করে নেয়। টাকা-পয়সা এমনকি মোবাইল পর্যন্ত। এর পর তাকে খুন করে রেললাইনে তার দেহ ফেলে দিয়ে পালায়। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।