পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মৃত্যু যে কঠিন বাস্তব, কঠোর সত্যি, যা আচমকায় নেমে আসতে পারে জীবনে, সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার আগে হাসিমুখে চপারে ওঠেন ইব্রাহিম রাইসি। তখন তিনি জানেন না, এটাই তাঁর শেষ হাসি। দুর্ঘটনার ঠিক প্রাক মুহূর্তে ইরানের প্রেসিডেন্টকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর আচমকাই ভাইরাল হল সেই ভিডিয়ো। যেখানে তাকে হেলিকপ্টারের ভিতর থেকে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে।
Helicopter carrying Iran’s President Ebrahim Raisi in East Azerbaijan province has reportedly crashed.
Iranian foreign minister and two other officials were also onboard. pic.twitter.com/8NQvfjirbv
— Tommy Robinson 🇬🇧 (@TRobinsonNewEra) May 19, 2024
সরকারি কাজে আজারবাইজানে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। চপারে করেই রওনা দেন তিনি। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর তেহরানে ফিরছিলেন রাইসি এবং আমিরাবদোল্লাহিয়ান। তখন উড়ান শুরুর ৩০ মিনিট বাদে ঘন মেঘের মাঝে নিখোঁজ হয়ে যায় রাইসির কপ্টারটি। প্রেসিডেন্টের সেই কনভয়তে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে বাকি দুটি হেলিকপ্টার অবশ্য সুরক্ষিত ছিল। সেই দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকারী দল পার্বত্য এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। খারাপ আবহাওয়া ও তুষারপাতের জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। পরে উদ্ধারকাজে পাশে দাঁড়ায় রাশিয়া। বিশেষ প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল সহ হেলিকপ্টার পাঠিয়েছিল মস্কো।
পরে ইরানের রেড ক্রেসান্টের প্রধান জানান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল সেই দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পরে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায়, ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারে কারও বেঁচে থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পাহাড়ে ভেঙে পড়ার পরে চপারটিতে আগুন ধরেছিল। তুরস্কের ড্রোনের সাহায্যে পাহাড়ের মাঝে জ্বলন্ত দেখা যায়। সেখানে গিয়েই সেই কপ্টারের অবশেষ অংশটি চিহ্নিত করা যায়।
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও ইরান সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি।
সীমান্তবর্তী আজারবাইজানের পাহাড়ে ঘেরা এলাকায় তাঁর হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে রবিবার দুপুরে। তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি-তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। ইরানের মেহর সংবাদসংস্থার পক্ষ থেকে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টারে থাকা সমস্ত যাত্রীই মৃত। ইব্রাহিম রাইসি এবং বিদেশমনন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহেইনের দেহ সম্পূর্ণভাবে ঝলসে গিয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া হেলিকপ্টারের ভগ্নাংশ প্রমাণ করছে, সেটি পাহাড়ের একটি চূড়ার সঙ্গে ধাক্কা খায়। পাহাড়ের ঢালে ভেঙে পড়ে চপারটি।