পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২০ মে। তার আগে মঙ্গলবার বনগাঁতে প্রচারে এসে মতুয়া ভোট টানতে ফের সিএএ, নাগরিকত্ব ইস্যুতে শান দিলেন মোদির সেনাপতি অমিত শাহ। প্রচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই ছিল নাগরিকত্ব নিয়ে দেশে সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকারের কথা। মতুয়াবাসীর সংশয় দূর করতে বনগাঁয় দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বনগাঁয় শান্তনু ঠাকুর জিতলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই এই নিয়ে রাজনীতিতে ফের জোরালো লড়াই শুরু হয় বিজেপি ও বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সুপ্রিমো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবধানবাণী ছিল, ‘আপনারা কি ভোট দেন না? তাহলে আবার নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ দেওয়ার কি আছে?’ এদিকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়াদের মধ্যে থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পায়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মতুয়া সমাজের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে।
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারের পর থেকে আদৌ সিএএ আবেদন করা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা, তা নিয়েও মানুষের মধ্যে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।
বনগাঁর সভা থেকে সেই সংশয় দূর করার চেষ্টা করে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আবেদন, কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করলে কারও অসুবিধা হবে না। শাহের দাবি, মতুয়া সমাজের মানুষকে আমি আশ্বাস দিচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা বলছেন। বলা হচ্ছে সিএএ চালু হলে,মানুষ সমস্যায় পড়বেন। আমি বলছি, বিভ্রান্ত হবেন না। নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। কোনও সমস্যা হবে না। আবেদন করুন, নাগরিকত্ব পাবেন। সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার পাবেন।
অমিত শাহ বলেন, হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুরের অনুগামী মতুয়ারা বিজেপির ‘ভোটব্যাঙ্ক’। দিদি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকায়। আর মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে দেবে না।
বনগাঁ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শাহের জবাব, আপনি বলছেন সিএএ হতে দেব না। আপনি কিভাবে আটকাবেন? নাগরিকত্ব কেন্দ্রের বিষয়। দুনিয়ার কোনও শক্তি সিএএ আটকাতে পারবে না।