তেল আবিব, ১২ মে: ফের রাফাহ শহর খালি করার নির্দেশ দিল ইসরাইল। গাজার দক্ষিণের শহর রাফায় আরও বড় ধরনের হামলা শুরু হতে পারে। যে কারণেই রাফার আরও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। শনিবার এক্স-হ্যান্ডেলে এক বার্তায় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, “উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের এবং প্রতিবেশী আরও ১১টি এলাকার লোকজনদের গাজার পশ্চিমের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।”
আআইডিএফ জানিয়েছে, “এপর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ গাজাবাসী আল-মাওয়াসির দিকে চলে গেছে। গাজার স্থানীয় বাসিন্দা, মানবিক গোষ্ঠীগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ উপেক্ষা করে রাফায় আরও তীব্র অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। গত সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে প্রায় ১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয়। গত সোমবার রাফার পূর্বাঞ্চলে হামলা চালানো হবে বলে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের এই নির্দেশনার পর এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। রাফা শহরের বাসিন্দারা এবং ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিনভর কামান ও বিমান হামলার শব্দ ছিল অবিরাম। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পূর্ব রাফাতে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাদের কার্যক্রম’ চালাচ্ছে।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। কারণ ভূখণ্ডটি কাছাকাছি ক্রসিং দিয়ে কোনও সাহায্য পাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনী রাফাহ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। সে সময় রাষ্ট্রসংঘ বলেছিল, সংস্থার কর্মীদের এবং ত্রাণবাহী গাড়িগুলি জন্য কেরাম শালোম ক্রসিংয়ে পৌঁছানো খুবই বিপজ্জনক ছিল।
অন্যদিকে, রাফাতে হামলা করলে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বাইডেন হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হামাসকে পরাজিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ইসরাইল একা লড়াই করবে।