ওয়াশিংটন, ১০ মে: ফিলিস্তিনের গাজা শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইল। হামাস বাহিনীকে নির্মূল করতে নতুন করে রাফাহ শহরে হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি সেনা বাহিনী। আন্তজার্তিক মহলের তরফে রাফায় হামলা করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা না করেই জোরদার হামলা শুরু করেছে আগ্রাসী শাসক বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ফের একবার রাফায় হামলা চালানো নিয়ে তেল আবিবকে সর্তক করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাফায় হামলা চালিয়ে ইসরাইল কখনোই হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ইসরাইল জোরালোভাবেই হামাস গোষ্ঠীকে চাপের মুখে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। সেটাই যথেষ্ট ছিল। নতুন করে রাফায় আগ্রাসন কেবল বেসামরিকদের ঝুঁকিই বাড়াবে; এর বেশি কিছু না।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রের কথায়, ‘রাফাহ আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সাহায্য করছে না। তবে তার মানে এই না যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে নেই বা হামাসের নির্মূল চায় না। আমরা এখনও ইসরাইলকে নিয়ে আশাবাদী। আমরা কেবল রাফায় আগ্রাসনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছি।’ এপ্রসঙ্গে ইসরাইলি এক শীর্ষ কর্তা বলেন, মিশরের কায়রোতে বন্দি মুক্তির বৈঠক কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। ইসরাইল তার পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাতে যুদ্ধ চালাচ্ছে।
এদিকে, রাফাতে হামলা করলে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বাইডেন হুমকিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হামাসকে পরাজিত করতে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ইসরাইল একা লড়াই করবে।
উল্লেখ্য, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রাণভয়ে শহর ছাড়তে শুরু করেছে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা। ইতিমধ্যে রাফাহ ছেড়ে ৮০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রাফাহ শহরে আশ্রয় নেয়। গত সোমবার রাফার পূর্বাঞ্চলে হামলা চালানো হবে বলে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের এই নির্দেশনার পর এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। রাফা শহরের বাসিন্দারা এবং ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিনভর কামান ও বিমান হামলার শব্দ ছিল অবিরাম।