পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ তৃতীয় দফার ভোটের আগে প্রচারে বাংলায় এসে বিরোধীদের আসন সংখ্যার ভবিষ্যৎ বাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার নদিয়ার শ্যামনগর ফুটবল মাঠে নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিরোধী দলগুলির প্রতি তাচ্ছিল্যের সুর ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, “তৃণমূল তো গোটা দেশে ১৫ আসনও জিতবে না। তাহলে আপনারা বলুন ওরা ১৫ আসন নিয়ে সরকার তৈরি করতে পারবে কি?” এরপর এই তালিকায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কংগ্রেসও গোটা দেশে যত শক্তি দেখাক হাফ সেঞ্চুরি করতে পারবে না। তাহলে ৫০ আসনও যে পাচ্ছে না সে সরকার তৈরি করতে পারবে কি?” এরপর বামেদের নিশানা করে বলেন, “এবার আসুন বাম মোর্চায়, একটা সময় এখানে যাদের সূর্য নিভত না, তাদের আর এখানে দেখা যাচ্ছে না। তাহলে তারা কি সরকার তৈরি করতে পারবে? এই নির্বাচনে এটা স্পষ্ট যে যদি কেউ সরকার তৈরি করতে পারে তবে সেটা বিজেপি ও এনডিএ।”
এদিনের সভায় কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায় ছাড়াও তেহট্টের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং বহরমপুরের প্রার্থী নির্মল সাহা। তাঁদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, “দেশের বিকাশ চাইলে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করুন।”
প্রায় প্রতিটি সভা থেকে ১০০ দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, “তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। তাই আমরা সরাসরি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চায়। কিন্তু তৃণমূল সরকার সেটা চায় না বলেই টাকা আটকে রেখেছে।” এরপরই মোদীর হুঁশিয়ারি, “তৃণমূলের যারা দুর্নীতি করেছে, তাঁদের কেউ ছাড় পাবে না। আইনি বিচার হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকার গঠন করছি। তবে তর্ক এখন এই জায়গায় পৌঁছেছে যে এনডিএ ৪০০ পার করবে কি না! আমাদের একটা পক্ষ বলছে, ৪০০ থেকে কিছু কম হতে পারে, আর এক পক্ষ বলছে ৪০০ ছাপিয়ে যাবে।’ এরপর ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ তুলে মোদির কটাক্ষ, ‘অন্যদিকে, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের তর্ক চলছে বিরোধী হিসেবে সবচেয়ে বড় দল কে হবে? এরা এই জন্য নির্বাচন লড়ছে।’ জনগণের কাছে মোদি আর্জি জানান, “মোদির সবচেয়ে বেশি আসন এই জন্য দরকার যাতে দেশের সব সংসদীয় আসনে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়।”