পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কন্যাসন্তানকে যখন বিপদের দিকে তার বাবা-মা ঠেলে দেয় তখন সমাজের চোখে সেটি অভিশাপ। মহারাষ্ট্রের পালঘরের একটি গণধর্ষণের মামলায় সেই চিত্র সামনে এসেছে। টাকার লোভে নাবালিকাকে বিক্রি করে দিয়েছিল তার বাবা-মা ও কাকা। এক ধর্ষকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল তারা।
এর পরে ওই নাবালিকাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে দুজন ব্যক্তি দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। ঘটনায় নাবালিকার বাবা-মা সহ ১৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন দুজন মহিলা চিকিৎসক সহ এক আইনজীবী। বর্তমানে ওই নাবালিকা দুই সন্তানের মা।
পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে রবিবার ১৬ জন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে দুজন ধর্ষক, নির্যাতিতার বাবা-মা, দুজন চিকিৎসক, এক আইনজীবী রয়েছেন। যৌন অপরাধ, পকসো আইন সহ জুভেনাইল অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে। এক অভিযুক্ত ধর্ষক নির্যাতিতাকে অমরাবতীতে নিয়ে তার পরিচয় গোপন রেখে প্রসব করায়।
আচোল থানার একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, নাল্লাসোপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেয়েটির দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, দুই ব্যক্তি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২১ সাল থেকে লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে, দুটি সন্তানের জন্ম দেয়। দুই ধর্ষক সেই সময় মেয়েটি ও সদ্যোজাতদের ছেড়ে চলে যায়।