পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সিঙ্গাপুরের পর এবার হংকং । ভারতীয় মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্থানীয় প্রশাসন। এমনকী দেশ থেকে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মশলা আমদানি এবং বিক্রিতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠে এমডিএইচ ও এভারেস্টের ফিস কারি মশলায় মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় হংকং প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারা। এরপর এই দুই সংস্থার মশলাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
সেন্টার ফর ফুড সেফটি গত ৫ এপ্রিল ঘোষণা করেছে এমডিএইচ-এর তিনটি পণ্য – মাদ্রাজ কারি পাউডার, মিক্সড মশলা পাউডার এবং সম্বার মশলা এছাড়াও এভারেস্টের ফিশ কারি মশলায় ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ইথিলিন অক্সাইড সাধারণত কৃষিকাজে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়। বহু দেশের খাদ্যে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে কিছুক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য পরিমাণের ব্যবহারে ছাড় রয়েছে। যদিও সিঙ্গাপুরের খাদ্য দফতরের অনুমোদনের চেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে এভারেস্ট ফিস কারি মসলায় বলেই অভিযোগ।
দিন কয়েক আগেই সিঙ্গাপুর মারাত্মক এক অভিযোগ তুলছিল ভারতের জনপ্রিয় মশলার সংস্থা এভারেস্টের বিরুদ্ধে। ভারতের খ্যাতনামা মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা এভারেস্টের ফিশ কারির বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের অভিযোগ, ওই মশলায় মাত্রাতিরিক্ত ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্যে ভীষণই ক্ষতিকারক। এমনকী ক্যানসারের মতো মারণ রোগ ডেকে আনতে পারে বলেও অভিযোগ।
এরপরেই ভারত থেকে আনা সমস্ত এভারেস্টের ফিশ কারি মশলা ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে তা খতিয়ে দেখে হংকং প্রশাসন। গভর্নমেন্ট ফর ফুড সেফটি সেন্টার হংকং-এর তিনটি দোকান থেকে ওই তিন ধরণের মশলার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে পাঠায়। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কীটনাশক এবং ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হয়েছে মশলায়। এরপরেই সমস্ত দোকান থেকে ওই মশলার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয় হংকং প্রশাসন।