পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘আমাদের দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি’, বলিউড অভিনেত্রী, বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। কেটিআর তীব্র কটাক্ষ করে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘উত্তরের এক বিজেপি প্রার্থী বলছে্ন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন! আর দক্ষিণের আরেক বিজেপি নেতা বলেছেন মহাত্মা গান্ধি আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন!! এই সমস্ত লোকেরা কোথা থেকে স্নাতক হয়েছেন?’
প্রসঙ্গত, বিজেপির হয়ে এবছর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। হিমাচলের মান্ডি থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে ইন্টারভিউতে কঙ্গনা বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আমাকে একটা কথা বলুন, যখন আমরা স্বাধীনতা পাই, তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কোথায় গিয়েছিলেন?” কঙ্গনার এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
তীব্র কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা সুপ্রিয়া শ্রীনাতে কঙ্গনা রানাউতের বক্তব্য শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বিষয়টিকে হালকাভাবে নেবেন না, উনি বিজেপির প্রার্থী’।
আগেও নিজের করা মন্তব্য ঘিরে তীব্র ট্রোলের শিকার হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। অভিনেত্রীর বক্তব্য ছিল, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর আসনে বসার পরেই দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে।
উল্লেখ্য, যোগদানের আগে থেকেই বরাবরই বিজেপি ঘেঁষা অভিনেত্রী হিসেবে তকমা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। রাম মন্দির উদ্বোধনের সময়তেও মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি। চিরকালই আলটপকা বক্তব্য রাখতে জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
গত ২৪ মার্চ বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে ১১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকায় নাম রাখা হয় কঙ্গনার। এর পরেই কঙ্গনা ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার প্রিয় ভারত ও ভারতের জনতার নিজস্ব দল হল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দল সব সময় আমার থেকে নিঃস্বার্থভাবে সমর্থন পেয়েছে। আমার জন্মস্থান হিমাচলের মান্ডি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিজেপি আমাকে নির্বাচিত করেছে, তার জন্য আমি সম্মানিত।’
উল্লেখ্য, হিমাচলে এক দফায় ১ জুন চার আসনে লোকসভা ভোট নির্বাচন হবে। ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত, মান্ডি আসনে তিনটি সাধারণ নির্বাচন এবং দুটি উপনির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে কংগ্রেস তিনবার জিতেছে।