নয়াদিল্লি, ২৩ মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের মুখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। একের পর এক আক্রমণের তির দাগতে শুরু করেছে বিরোধীরা। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়টি ইতিমধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নজরে দিয়েছে ইন্ডিয়া। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তজার্তিক মহলেও চাপের মুখে পড়ল ভারত। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছে জার্মানি। দেশটির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফিশার বলেছেন, “জার্মানি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা জানি ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। যেখানে ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। কেজরিওয়ালও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত পাওয়ার অধিকার রাখেন।”
এদিকে জার্মানি এই মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যে দিল্লিতে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন জর্জ এঞ্জওয়েলারকে তলব করেছে সাউথ ব্লক। এঞ্জওয়েলারকে বিদেশমন্ত্রকের দপ্তরে হাজির দিতে বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এই ধরনের মন্তব্য করা মানে দেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় অযাচিত হস্তক্ষেপ করা। বিচারবিভাগের স্বাধীনতার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। তাই এমন আচরণ কাম্য নয়।”
প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। লোকসভা ভোটের আবহে গতকাল রাতের দিকে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় ১৫০ পৃষ্ঠার একটি নথি উদ্ধার করে তদন্তকারিরা বলে জানা গিয়েছে। নথিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। ইডি একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়েছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই এই মামলায় ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’।