পুবের কলম প্রতিবেদক: হিসাব এবার অ্যাপে। এতদিন পর্যন্ত নির্বাচনের সময় নির্বাচনের হিসেব দেখভাল করার জন্য যে এজেন্সিগুলি কাজ করতো তা হাতে কলমে করা হতো এবং হাতে কলমেই পাঠানো হত। এই প্রথম তৈরি করা হল একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে নির্বাচনের আয় ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের ওপর নজর রাখতে পারবে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, যে মুহুর্তে ২২টি এজেন্সি কোনও কিছু তথ্য পাবে সেই তথ্য তৎক্ষণাৎ আপলোড করা হবে অ্যাপে। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলিও যদি কোনওরকম ভাবে কমিশনের নিয়ম বহির্ভূত কোনও কাজ করতে যায় তাও তৎক্ষণাৎ ওই অ্যাপের মাধ্যমেই ধরা পড়ে যাবে। অর্থাৎ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক নিমেষে সকলের কাজকে হাতের মুঠোর মধ্যে আনতেই কমিশনের এই পদক্ষেপ বলেই জানিয়েছে কমিশন। এরই পাশাপাশি শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে একজন আন্ডার সেক্রেটারি পদাধিকারী সহ ২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আসে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। যেখানে কমিশনের সমস্ত প্রযুক্তির ওপর নির্ভরকারী অ্যাপকে নিয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয় তারা। বিশেষত এই অ্যাপগুলিতে সবকিছুতেই একটি সময় নির্ধারণ করা আছে। সেই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কাজ। না হলে ওই অ্যাপ আর কোনই কাজ করবে না। অর্থাৎ, কোন প্রার্থী তার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তাকে সঙ্গে সঙ্গেই ওই অ্যাপের মধ্যে আপলোড করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। যদি নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যায় তাহলে ওই অ্যাপে আর কোনই কাজ করা যাবে না। এখানেই শেষ নয়, রীতিমতো জবাবদিহি করতে হবে কমিশনের কাছে কেন উক্ত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা গেল না। এক কথায় বলাই যায় কমিশন কিন্তু এবার সব দিক থেকেই রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। কোনও কিছুতেই কাউকে রেয়াত করতে রাজি নয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন।