পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কন্যা সন্তান জন্মেছে খবর পেয়ে বখশিস চাইতে এসেছিল বৃহন্নলা। কিন্তু ওই শিশুর বাবা–মা বখশিস না দিয়েই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে। এতেই হয়েছিল রাগ। যাওয়ার আগে ওই বৃহন্নলা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ‘এর ফল ভুগতে হবে ৫ দিনের মধ্যে, এমন কাজ করব, আমি বিখ্যাত হয়ে যাব’। কথামত কাজও করেছিল সে। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেও মুম্বইয়ের কাফে প্যারেড এলাকার ওই বাড়িতে হানা দেয় সে। সবাই ঘুমাচ্ছে দেখে তুলে আনে ৩ মাসের শিশুকে। এরপর ওই শিশুকে প্রথমে ধর্ষণ তারপর খুন করে স্থানীয় একটি খাঁড়ির জলে ফেলে দেয় ওই বৃহন্নলা। এক ব্যক্তি খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিযে ঝোপের ধারে উদ্ধার করে শিশুকে। খবর যায় শিশুর পরিবারের কাছে। পুলিশ খবর পেলে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বৃহন্নলা ও তার শাকরেদদের। ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালে। ৩ বছর পর সম্প্রতি ওই মামলার শুনানি হয়েছে মুম্বইয়ের একটি পকসো কোর্টে। ওই বৃহন্নলাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন, স্পেশাল জাজ অদিতি কদম। তিনি বলেন, যাবজ্জীবন সাজা একটি নিয়ম। মৃত্যুদণ্ড একটি ব্যতিক্রম। এমন সাজা শুধুমাত্র বিরলতম অপরাধে দেওয়া হয়। যেভাবে ওই শিশুকে ঠান্ডা মাথায় নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, সেটাকে বিরলতম ঘটনা বলা চলে।