মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মামলা দাখিল করলো।সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।এদিন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এজলাসে জানান , “শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” বিচারপতি কৌশিক চন্দ প্রতুত্তরে বলেন, “সেটাই তো স্বাভাবিক যে শাসক দলের নেতাদের আটকানো হবে না। আপনার দল ক্ষমতায় এলে তারাও সেটাই করবে। ”মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কিন্তু পথেই আটকে দেয় পুলিশ। দলে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, আইনজীবী-সহ ৬ সদস্য। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু পুলিশ তাঁদের মাঝ রাস্তাতেই আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বাগ ঝামেলা শুরু হয়। বাসন্তী হাইওয়েতে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। গ্রেফতার হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের।খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।