চণ্ডীগড়, ২৬ ফেব্রুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আগেই খুন হলেন নাফে সিং রাঠি। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (INLD) হরিয়ানার সভাপতি ছিলেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলার বাহাদুরগড়ে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন আইএনএলডি সভাপতি।
ইতিমধ্যেই রাঠি মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আইএনএলডি নেতার খুন নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এদিকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হরিয়ানার খট্টর সরকার।
আইএনএলডি সভাপতির মৃত্যু নিয়ে হরিয়ানা মনোহরলাল খট্টর সরকারকেই দায়ী করেছেন অভয় চৌটালা। আইএনএলডি নেতার দাবি, গত ছয় মাস আগে নাফে সিং রাঠি খুন হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর জীবনের সংশয়ের কথা জানিয়েছে এসপি, ডিজি এবং মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে লিখিতভাবে জানিয়ে ছিলেন সভাপতি। কিন্তু তাঁকে নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়েও কোনও পদক্ষেপ করেনি সরকার।
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে চৌটালা বলেন, “যাঁদের নিরাপত্তা দরকার তাঁরা নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। যারা একাধিক মামলায় অভিযুক্ত, সরকার তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। প্রশাসনিক প্রধানকে জানানোর পরও কেনো তদন্ত করা হয়নি, কেনো সভাপতির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়নি।” খুনের ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই যুক্ত রয়েছে বলে দাবি হরিয়ানা সরকারের। ‘নিজেদের বাঁচাতে’ এই ধরণের কৌশল নিচ্ছে খট্টর বলেও কটাক্ষ করেছেন আইএনএলডি নেতা।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, “রাজ্য সভাপতি নাফে সিং রাঠিকে গুলি করে খুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। হরিয়ানায় কেউই নিরাপদ নয়।” “হরিয়ানায় আইনের শাসন নেই, রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে” বলেও তোপ দেগেছেন আম আদমি পার্টির নেতা সুশীল গুপ্তা।