পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিজেপির বিধায়কদের হট্টোগোলে থমকালো রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তবে অধিবেশন এগিয়ে নিয়ে যেতে কড়া পদক্ষেপ নিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির ৬ বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দিয়েছেন তিনি। এদিন বিজেপির বিধায়কেরা সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সময়ে হট্টোগোল জুড়ে দেন। এদিন বিজেপির বিধায়কেরা সবাই অধিবেশন কক্ষে আসেন ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা টিশার্ট গায়ে। সেই টি-শার্ট নিয়েই আপত্তি তোলেন অধ্যক্ষ। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন পদ্ম বিধায়কেরা। স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হুইসেল বাজাতে শুরু করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কাগজ ছিঁড়ে নিজেদের আসন ছেড়ে ওয়ালে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তারপর তাঁরা অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন। এরপরেই শুভেন্দু সহ বিজেপির ৬ বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ।
শুভেন্দু সহ এদিন বিজেপির যে যে বিধায়কেরা সাসপেন্ড হয়েছেন চলতি অধিবেশনের জন্য তাঁরা হলেন অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ, তাপসী মন্ডল, মিহির গোস্বামী ও শঙ্কর ঘোষ। পদ্ম শিবিরের এই ৬ বিধায়ক চলতি বাজেট অধিবেশনে আর এক দিনও অংশ নিতে পারবেন না। সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ এমনি এমনি বিজেপির ৬ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেননি। বিজেপির বিধায়কদের কাণ্ড দেখে রাজ্য বিধানসভার বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষকে নির্দেশ দেন অধ্যক্ষকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাতে। সেই সময় নির্মল অধ্যক্ষের কাছে বিজেপির পুরো পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। অধ্যক্ষ তাতে নারাজ হওয়ায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন ও তাঁর নির্দেশিকা জানিয়ে দেন। তবে এদিন কলকাতা থেকে হুগলির আরামবাগে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সন্দেশখালিতে যে কেউ যেতে পারে। যারা হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।