বিশেষ প্রতিবেদন: কঠোর নিরাপত্তা, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সার্ভিস বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানে যখন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, তখন বেশকিছু পশ্চিমা মিডিয়ার পূর্বাভাসে বলা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফই বিজয়ী হতে চলেছেন। এই নির্বাচনে জিতে চতুর্থবারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে আগেই বলে দেয় বহু সংবাদ সংস্থা। এর আগে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ। তিনবারই তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। সর্বশেষ ক্ষমতা হারানোর পর কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়। এরপর তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে লন্ডনে চলে যান। সেখান থেকে গত বছর অক্টোবরে দেশে ফেরেন। এবারের নির্বাচনে তার হারানো প্রধানমন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়ার সুস্পষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারণ, শক্তিশালী ও জনপ্রিয় পিটিআই নেতা ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা জেলে রয়েছেন। গত সপ্তাহে করাচিতে পাকিস্তানি অভিজাত ব্যবসায়ীদের এক সমাবেশে অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তারা একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন। বলেছেন, এরপর যে জোট সরকার গঠিত হবে তাও হবে দুর্বল। বেশির ভাগ মানুষ আশা করছেন এই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন নওয়াজ শরিফ অথবা তার ভাই, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটও এক পূর্বাভাসে বলেছে, নওয়াজ শরিফ ও তার দল পিএমএলএন’ই ক্ষমতায় যেতে পারে। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে দাঁড়ানো পিটিআই নেতারা যদি জিততে পারেন তা হবে বিস্ময়কর। থিঙ্কট্যাঙ্ক কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশন্স বলেছে, নওয়াজের পথ পরিষ্কার। সেনাবাহিনীর সমর্থনে তিনিই হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তার দল পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেতে পারে।