মোল্লা জসিমউদ্দিন: চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারচুপি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
ওই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এবার নিম্ন আদালতে চলা ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এর পাশাপাশি, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি আদৌও ওবিসি কিনা? তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক মহকুমাশাসককে এনিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ রয়েছে।
আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে সৌদিতে বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগ, গত ৪ জুন সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি । বিদেশে থেকেও কিভাবে মনোনয়ন জমা পড়ল?
এই প্রশ্ন তুলে মামলা হয় হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি করে জানান, “মক্কায় বসে মনোনয়ন জমা দেওয়া ওই প্রার্থীর ক্লাস শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ভুয়ো। তাছাড়া , ৯ জুন ওবিসি সার্টিফিকেট এর আবেদন করে ১০ জুন কীভাবে ওই সার্টিফিকেট হাতে পেলেন তৃণমূল প্রার্থী? সেটাও জালিয়াতি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হোক। যেখানে তিনি দেশে উপস্থিত ছিলেন না’।
তবে রাজ্য জানায় -‘ আদালতের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত চালিয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সেইমতো চার্জশিটও দাখিল হয়ে গিয়েছে। নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে’। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানায় ,-‘ হাইকোর্টের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি থাকবে’। আগামী ১২ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।