পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষ উগরে দিয়ে পদত্যাগ করলেন হাইতিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ড্যানিয়েল ফুট। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের একটি শহর থেকে অভিবাসী হাইতি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই কাজের প্রতিবাদ জানিয়েই পদত্যাগ করলেন ড্যানিয়েল ফুট। পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেন, ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মানুষগুলিকে জোর করে পাঠানো হচ্ছে। অমানবিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে আমি শামিল হব না।
উল্লেখ ড্যানিয়েল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাইতি সংক্রান্ত নীতি খুবই ত্রুটিপূর্ণ। হাইতি একটি ভেঙে পড়া রাষ্ট্র। যে কারণে এই অভিবাসীদের অর্থ, খাদ্য ও বাসস্থান দেওয়ার ক্ষমতা ওই দেশের নেই, তাই তাদের সাহায্য করা প্রয়োজন।
এদিকে গত সপ্তাহেই টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী একটি শহরের বিমানবন্দর থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী হাইতির লোকজনকে ফেরত ফেরানোর কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০১ জনকে হাইতিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। টেক্সাসের ওই শহরটির একটি সেতুর নিচে হাইতি থেকে আসা প্রায় ১৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমেও কোনও রকমে দিন পার করেছেন তারা।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাইতির নাগরিকদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে জেন সাকি বিশেষ দূত ড্যানিয়েল ফুটের সমালোচনা বলেন, ‘ফুট চাইলে তাঁর মেয়াদকালে অভিবাসন নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানাতে পারতেন। কিন্তু, তিনি সেটা জানাননি।’
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার পর হাইতি ছেড়েছেন দেশের বহু নাগরিক। যাদের একটি বড় অংশ রয়েছে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। একটু আশ্রয়ের জন্য শত অসুবিধাকে উপেক্ষা করেও তারা পড়ে থেকেছেন এক টুকরো নিরাপত্তার খোঁজে।