পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। পুলিশের নজর ঘোরাতে প্রতিদিন সে দেহের টুকরোগুলি নিয়ে কাছের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসত। ২০২২ সালে দিল্লির এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি ২০২৪ সালেও। সমাজে ক্রমশই সম্পর্কের অবনতি মানুষের মধ্যে এক বিকৃত মানসিকতার সাক্ষী থাকছে, যা প্রতিদিনই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া এবার মধ্যমগ্রামে। স্ত্রীকে খুন করে তার দেহ ১৮ টুকরো করে কুচিয়ে খালের জলে ফেলে দিল স্বামী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে এই খুন। পুলিশ তদন্তে নেমে সেই খাল থেকে মুখের কিছুটা অংশ, হাতের টুকরো, গলার নীচ থেকে পেটের অংশ উদ্ধার করেছে। মৃতা মহিলার নাম সায়রা বানু। এদিকে স্ত্রীকে খুনের পর স্বামী নুরউদ্দিন বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পুলিশের নজরদারিতে বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, নুরউদ্দিন মণ্ডল নামে বছর পঞ্চান্নর ব্যক্তি কিছুদিন আগে মধ্যমগ্রাম থানায় তাঁর স্ত্রী সায়রা বানুর নামে একটি মিসিং ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থেই বেশ কয়েকবার নুরউদ্দিনকে জেরা করতে থাকেন তদন্তকারীরা। কিন্তু পুলিশি জেরায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে নুরউদ্দিনের। এর পর সোমবার বাড়ি থেকে অন্যত্র গিয়ে বিষ খায় সে। এক ব্যক্তিকে রাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নুরউদ্দিনকে চিনতে পারে। তাঁকে দ্রুত বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নুরউদ্দিন পুলিশকে জানায়, সেই ছুড়ি মেরে স্ত্রীকে খুন করেছে। তার পর দেহ খালে ফেলে দিয়ে আসে। সেইমতো পুলিশ নুরউদ্দিনের বাড়ির পাশের খালে তল্লাশি শুরু করে মধ্যমগ্রাম থানার রোহান্ডার খাল থেকে টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। নুরউদ্দিনের মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।