বিশেষ প্রতিবেদন: ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ বিদ্রোহীদের অবস্থান ও ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে ব্রিটিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তবে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই এ হামলা চালানোয় জাতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। যে কোনও দেশে সামরিক অভিযান পরিচালনার আগে কংগ্রেসের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে মার্কিন সংবিধানে। কিন্তু ইয়েমেনে এ হামলা চালাতে কংগ্রেসের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে বারংবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে হুথিদের বিরুদ্ধে এ হামলা চালানো হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইরান সমর্থিত হুথি বাহিনীর রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সক্ষমতাকে খর্ব করতেই এ হামলা চালানো হয়। হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হুথিদের হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। তবে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই ইয়েমেনে হামলা চালানোর ঘটনায় মার্কিন রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। বেশ কজন ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা বাইডেনের বিরুদ্ধে মার্কিন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
মার্কিন সংবিধানের ১ অনুচ্ছেদে আসলে কী বলা আছে এবং আসলেই কি বাইডেন তা লঙ্ঘন করেছেন? মার্কিন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১ অনুযায়ী, যেকোনও যুদ্ধের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে প্রেসিডেন্টকে। তবে ইয়েমেনে চালানো হামলার বিষয়ে বাইডেন কংগ্রেসকে জানালেও কোনও অনুমোদন চাননি। অনুচ্ছেদ ১-এর ধারা ৮ কংগ্রেসকে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা থাকবে কংগ্রেসের।’ অনুচ্ছেদটির সুনির্দিষ্ট একটি অংশে সামরিক পদক্ষেপের জন্য সুস্পষ্টভাবে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাইডেন তা মানেনি, অর্থাৎ তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।