পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের প্রসংশিত কলকাতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর এল কলকাতা তথা রাজ্যের জন্য। সাফল্যের জোড়া পালক জুড়ে গেল কলকাতা বিমানবন্দরের মুকুটে।
আর সেই সাফল্যই বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হাত ধরে রাজ্যবাসীর আর্থিক উন্নয়ন কেমন হয়েছে। যে জোড়া স্বীকৃতির মুখ দেখেছে কলকাতার দমদমের নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ।
তা হল , বিশ্বে মিডিয়াম বিমানবন্দর ক্যাটাগোরিতে উড়ানের সমানুবর্তীতার বিভাগে নবম সেরা বিমানবন্দরের তকমা পাওয়া এবং দেশের মধ্যে দ্বিতীয় লাভজনক বিমানবন্দর হিসাবে উঠে আসা। আর এই দুই তথ্যই কার্যত বলে দিচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে যা রাজ্যের বাসিন্দাদের আর্থিক উন্নতিরই পরিচয়ক হিসাবে উঠে আসছে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে কলকাতা বিমানবন্দর সবচেয়ে বেশি যাত্রী পেয়েছে সদস্য সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। কলকাতা বিমানবন্দরের এক তথ্যে জানাগিয়েছে সর্বমোট ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার যাত্রী ডিসেম্বর মাসে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখেছেন বিমান ধরতে বা বিমানে করে এসে। কোভিডের সময় একাধিক নিষেধাজ্ঞার জন্য বিমানযাত্রীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল কলকাতায়।
কিন্তু কোভিড বিধি উঠে যাওয়ার পর থেকে কলকাতা সহ রাজ্য এবং দেশের জনজীবন যত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে ততই ফের কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। তারমধ্যেই দেখা যাচ্ছে ২৩’র ডিসেম্বরেই কলকাতা বিমানবন্দরে রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী হয়েছে। কোনও একটি মাসের ক্ষেত্রে এই যাত্রীসংখ্যা অভূতপূর্ব। প্রশ্ন উঠতে পারে বিমানবন্দরে যাত্রী বৃদ্ধির সঙ্গে রাজ্যের আর্থিক উন্নতির কী যোগ রয়েছে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিমান ভাড়া বাস ও রেলের থেকে অনেকটাই বেশি। তা সে টিকিট আগে কিনে রাখা হোক কী পরে। সাধারণত বিমানের টিকিটের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ে প্রিমিয়াম হারে। অর্থাৎ বিমানের যাত্রার সময় যত এগিয়ে আসে, সেই বিমানের টিকিটের ভাড়াও ততই বাড়ে। এই ভাড়া বহণ করার ক্ষমতা কতজনের আছে সেটার ওপরেই একটি বিমানের পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে লাভজনক বা ক্ষতির বিষয়টি চিহ্নিত হয়।
অর্থাৎ বিমান চালিয়ে লাভ হচ্ছে না ক্ষতি হচ্ছে তা টিকিট বিক্রির টাকা থেকেই বোঝা যায়। এখন কোনও সংস্থাই অলাভজনক রুটে বিমান চালাতে চায় না। সবাই লাভজনক রুটেই বিমান চালাতে চাইছে।
সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে কলকাতা থেকে কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশের মধ্যেকার নানা শহরে যাওয়ার জন্য যত নতুন রুট চালু হয়েছে তার কোনওটাই বন্ধ হয়ে যায়নি। সেই সব রুটে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ শহরের বা রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে বিমানে করে যাওয়ার সামর্থ্য বাড়ছে। যা আর্থিক উন্নতি ছাড়া সম্ভব নয়।
পাশাপাশি সময় বাঁচানোর জন্যও অনেকে ট্রেনের বদলে বিমানকে বেছে নিচ্ছেন। কলকাতা থেকে সরাসরি বিদেশে যাওয়ার বিমান কম থাকলেও দেখা যাচ্ছে দেশের মধ্যেকার নানা শহরে যাওয়া বিমানের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।