পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোফায় বসে আছেন সায়রা বানু, আর মাটিতে বসে হাঁটু মুড়ে বসে আছেন আমির খান। বাঁদিকে রয়েছেন আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও। আর রয়েছেন আমিরের মা জিনাত হুসেন। সায়রা বানুর সঙ্গে এইভাবেই একান্তে গল্পে মশগুল থাকতে দেখা গেল আমিরের পরিবারকে। যে সুন্দর মুহূর্তগুলির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন সায়রা।
প্রয়াত হয়েছেন দিলীপ কুমার। দিলীপ কুমারকে ঘিরেই ছিল সায়রা বানুর জীবন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন বর্ষীয়ান সায়রা বানু। নতুন বছরের শুরুতে তাই তাঁকে সঙ্গ দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন আমির খান। আমিরের সঙ্গেই তাই নববর্ষকে বরণ করে নিলেন সায়রা বানু। সেই সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সায়রা বানু।
সায়রা বানু লিখেছেন, আমির খান কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার মনে আছে, যখন আমি দিলীপ সাহেবের আত্মজীবনী, দ্য সাবস্ট্যান্স অ্যান্ড দ্য শ্যাডো বের হবে তখন আমির সব রকম ভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এটা এইরকমই একটা মুহূর্ত। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চাকচিক্য এবং গ্ল্যামারের বাইরে গিয়ে তিনি কী ধরনের ব্যক্তি এটা আপনাকে প্রকৃত অর্থেই উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে ।’
নববর্ষে এই সুন্দর মুহূর্ত আমির, কিরণদের সঙ্গে কাটানো প্রসঙ্গে সায়রা বানু লিখেছেন, ‘গতকাল, আমি, আমির, কিরণ এবং জিনাতকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত ছিলাম। জিনাত যিনি আমিরের মা, একজন খুব সুন্দর মানুষ। ওদের সকলের সঙ্গে কাটানো এই সুন্দর মুহূর্ত দিলীপ সাহেবের সঙ্গে স্মৃতির গলিতে হাঁটার মাধ্যমে নতুন বছরটা আনন্দের সঙ্গেই শুরু হয়েছে’। সায়রা আরও লিখেছেন, সকলের সঙ্গে একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া এই হাসি, সুন্দর মুহূর্তগুলি সত্যিই দারুণ ছিল। সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি, ভাগ করে নেওয়া হাসি এবং কিছু বন্ধন অপরিবর্তিত থাকবে। তা ক্যালেন্ডার যতই ঘুরে দাঁড়াক না কেন।’
আমির খানকে শেষ দেখা গিয়েছিল লাল সিং চাড্ডাতে, যা ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। অভিনেতা রেবতীর সালাম ভেঙ্কিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কাজল প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তিনি চ্যাম্পিয়নস নামে একটি চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করেন।