পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ‘ঠোক দো’ নীতি অবলম্বন করেছিলেন। অর্থাৎ অপরাধ করলেই গুলি করে মেরে ফেলা হোক। এরপর সেরাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ অপরাধীকে এনকাউন্টারে হত্যা করেছে পুলিশ। কিন্তু বিজেপি ঘেঁষা অপরাধীদের ক্ষেত্রে সে নিয়ম পালন করে না যোগী সরকার।
গত ২ নভেম্বর আইআইটি বারাণসীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। আর তাতে অভিযুক্ত তিনজনই গেরুয়া দলের সদস্য। এমনটা বলছে তাদেরই ফেসবুক পেজ। সেখানে লেখা আছে, তারা বিজেপির আইটি সেলের কর্মী। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ছবিও পাওয়া গেছে তাদের। রবিবার ওই তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাদের উপর বুলডোজার বা ‘ঠোক দো’ নীতি এখনও কেন প্রয়োগ করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তোলা ওই তিন অপারাধীর ছবি পোস্ট করে মহুয়া লেখেন, ‘ঠোক দিজিয়ে স্যার। ইস বার বুলডোজার চালানে মে ইতনা দের কিউ?’।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে সামান্য অপরাধে, বা অপরাধের অভিযোগ উঠলেও বহু সংখ্যালঘুর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যোগী সরকার।