পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : মহারাষ্ট্রের চারটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের মৃত্যু মিছিল। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭২। নান্দেড় ও ছত্রপতি শম্ভাজিনগর জেলার দুই সরকারি হাসপাতালে গত ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪৯ জন রোগীর। অপরদিকে বুধবার সকাল ৮ টায় নাগপুরের জিএমসিএইচ সরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি একই শহরের ইন্দিরা গান্ধি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন মারা গেছে।
জিএমসিএইচ হাসপাতালের ডিন জানিয়েছেন, ১৯০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ মূমুর্ষু রোগীরাই সাধারণত এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধি সরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে সকলেই ভেন্টিলেটরে ছিলেন। ৮০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৬ রোগীর মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি নেই।
রোগী মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো চাপে বিজেপি ও একনাথ পন্থী শিবসেনার সরকার। নান্দেড় জেলায় ৩৬ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যু, মঙ্গলবার ছত্রপতি শম্ভাজিনগরের সরকারি হাসপাতালে দুই শিশুসহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। হাসপাতালের তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। মঙ্গলবারই ডা. শঙ্কররাও চভান হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ হেমন্ত পাটিল। হেমন্ত রোগী মৃত্যুর সমস্ত দায়ভার হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঘাড়ে চাপিয়ে ডিনকে দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করান।
একনাথ শিন্ডে হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতির কথা উড়িয়ে দিয়ে সংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ-চিকিৎসক,কর্মী আছে। রোগী মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।
মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ,কম ওজনের শিশু সহ দুর্ঘটনার শিকার রোগীরা ছিলেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার শিন্ডে সরকারের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন এবং হাসান মুশরিফ নান্দেড় হাসপাতালে যান। চিকিৎসা শিক্ষামন্ত্রী হাসান মুশরিফ সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি হবে। তবে মুশরিফ দাবি করেছেন, হাসপাতালের ওষুধের কোনও ঘাটতি নেই।
ঘটনায় রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রিয়াঙ্কা বঢ়ড়া শিন্ডে সরকারের সমালোচনা করেছেন। বিরোধীদের বক্তব্য এইগুলি মৃত্যু না খুন। সুপ্রিয়া সুলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানাজি সাওয়ান্তের পদত্যাগ দাবি করেছেন।