নয়াদিল্লি, ১৩ মার্চ: সুপ্রিম ধমকের পরই মঙ্গলবার নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে এসবিআই। বুধবার সেই সংক্রান্ত হলফনামা শীর্ষ আদালতে জমা দেয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সেই হলফনামায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে। তার মধ্যে ২২ হাজার ৩০টি বন্ডই ভাঙিয়ে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি! বাকি নির্বাচনী বন্ডগুলির ভাঙানো না হওয়ায় সেগুলি প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার একটি মাধ্যম এই বন্ড।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি মোট ১২ হাজার কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছিল কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। তারা সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছিল বন্ডের মাধ্যমে। কংগ্রেস পেয়েছিল ১ হাজার কোটির টাকার একটু বেশি। পরিচয় ও দেওয়া অর্থ গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার সুবিধার জন্যই এসবিআইয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চাঁদার মাধ্যমে কালো টাকার লেনদনে রাশ টানাই ছিল নির্বচনী বন্ডের প্রধান উদ্দেশ্যে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশ নিয়ে সোমবার দু’টি মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে। সওয়াল জবাবের সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বন্ডের তথ্যপ্রকাশের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ ১১ মার্চ। এই ২৬ দিনের মধ্যে এসবিআই কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বিস্তারিত জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পিটিশনে সে ব্যাপারে নীরব থাকার জন্য ব্যাঙ্কের কড়া সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি। একপ্রকার সুপ্রিম নির্দেশকে অবমাননা করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি। তারপরই ২৪ ঘন্টার মধ্যে বন্ডের তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ক্ষুদ্ধ আদালত। সুপ্রিম ধমকের পর মঙ্গলবারই সেই তথ্য জমা করল এসবিআই।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)