বিশেষ প্রতিবেদন: উন্নত ও নিরাপদ জীবনের আশায় প্রতিবছর নৌকায় করে উত্তাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেন হাজার হাজার মানুষ। তবে ঝূঁকিপূর্ণ এ যাত্রায় ভাগ্য সবার সহায়ক হয় না। নৌকা ডুবে, ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরেই সলিল সমাধি হয় অনেকের। ইউরোপগামী এসব মানুষকে সমুদ্র যাত্রা থেকে রুখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না অভিবাসন প্রত্যাশীদের এ ঢল। যার ফলে প্রায় প্রতিদিনই সমুদ্রে ডুবে পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছেন কেউ না কেউ। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ সমুদ্র পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। তবে এই একই সময়ের মধ্যে ইউরোপ প্রবেশের মোহে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ। শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার নিউইয়র্ক অফিসের হাইকমিশনার রুবেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘এ বছর নতুন করে যে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। তার মধ্যে ৮৩ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার জন শুধুমাত্র ইতালিতে গেছেন। এছাড়া ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস এবং মাল্টাতেও গেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ। তিনি বলেছেন, ’শুধুমাত্র ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২,৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। ২০২২ সালের একই সময় এ সংখ্যাটি ছিল ১,৬৮০ জন। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যাটি অনেক বড় লাফ দিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপ যাত্রায় সমুদ্রে ডুবে মানুষের মৃত্যুর ‘কোনও শেষ’ তারা দেখতে পাচ্ছেন না। এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ বছর তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছেন ১ লক্ষ ২ হাজার মানুষ। যা গত বছরের তুলনায় ২৬০ শতাংশ বেশি। এছাড়া লিবিয়া থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।