পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের সেলফ ডিটারমিনেশন (আত্মসংকল্প) বা রাষ্ট্র হিসাবে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বকে মান্যতা দেওয়ার বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। অর্থাৎ ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন এবং স্বকীয় রাষ্ট্র হিসাবে মেনে নেওয়া হবে কি হবে না তা নিয়ে ভোট প্রদান করে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান– ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের হিসাবে মেনে নিতে ১৫৮টি দেশ পক্ষে ভোট প্রয়োগ করে– যেখানে ১০টি সদস্য দেশে ভোট দেয়নি এবং প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৬টি দেশ।
ফিলিস্তিনি বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়– প্রস্তাবের পক্ষে এই ভোটের ফলকে স্বাগত জানায় ফিলিস্তিন। আরও বলা হয়– ‘আত্মসংকল্পের অধিকারই সব অধিকারের ভিত্তি– বিশেষত ফিলিস্তিনিদের জন্য যারা ইসরাইলি দখলের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ভেগান্তির শিকার হয়ে চলেছে।’ উল্লেখ্য– ১৯৬৭ সালে মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধের পরই জায়নবাদী ইসরাইল ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়। এরপর থেকে ওই এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু হার মানেনি ফিলিস্তিন। ১৯৬৭-র পর থেকেই আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় ও রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপে নতুন সীমানা তৈরি করে পূর্ব জেরুসালেমকে নয়া ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসাবে দেখতে চেয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
এর অর্থ ফিলিস্তিনিরা চেয়েছেন সেলফ ডিটারমিনেশন বা তাদের রাষ্ট্র ও তাদের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা ও স্বীকৃতি। ইসরাইল এই চেষ্টায় বারংবার বাধ সাধলেও এতদিন পর রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট পড়েছে। প্রায় ১৫৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও দখলমুক্ত রাষ্ট্র হিসাবে দেখার পক্ষে মত দিয়েছে। আর ইসরাইল ও মার্কিন মিত্ররা বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বা ভোট থেকে বিরত থেকেছে।