পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দূষণ নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল দিল্লি ও পঞ্জাব সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষকদের বিরুদ্ধে খড় পোড়ানো নিয়ে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দিল্লি ও পঞ্জাব সরকারকে হরিয়ানা সরকারের কাছ থেকে শেখা উচিৎ কিভাবে কৃষকদের সাহায্য করা যায়। দূষণ নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার দূষণ সংক্রান্ত মামলাগুলো একত্রিত করে শুনানি শুরু হয় শীর্ষ আদালতে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চে তোপের মুখে পড়ে দিল্লি ও পঞ্জাবের সরকার। আপশাসিত দুই সরকারের প্রতি তীব্র রুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২৩ সালের নভেম্বর সবচেয়ে দূষিত। কেন এই সমস্যা, সেটাও সকলের জানা। সরকারেরই উচিত এই সমস্যার সমাধান করা।”
কৃষকদের দায়ী করার প্রবণতাকেও ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, “কোনও কারণ আছে বলেই ফসল পোড়াচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু কোনও প্রতিনিধি এখানে নেই বলে তাঁদের কথা আমরা জানতে পাচ্ছি না। কৃষকদের কীভাবে বাড়তি সুবিধা দেওয়া যায়, সেটা হরিয়ানার থেকে শেখা উচিত পঞ্জাব সরকারের। দরিদ্র কৃষকদের জন্য সব সরঞ্জাম দেওয়া উচিত সরকারের।”
দূষণ সংক্রান্ত মামলার পাশাপাশি পরিবহনের বরাদ্দে দেরি নিয়েও শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময়েই আপ সরকারকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত জানায়, “আমাদের নির্দেশ মানছেন না আপনারা।” দূষণ নিয়ে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টও পেশ করতে হবে শীর্ষ আদালতে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শুরু থেকেই দূষণে জেরবার দিল্লি। আগেই সুপ্রিম কোর্ট দূষণ নিয়ে কেজরিসরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। দিল্লি সহ চার রাজ্যে খড় পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ অমান্য করে দীপাবলির দিন রাতে দেদার আতশবাজি পোড়ানো হয়। তার ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই। কেজরি সরকার পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করে।