পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলার হয়ে কি ঋদ্ধিমান সাহার ইনিংস তাহলে শেষ হয়ে গেল? রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দল নির্বাচনে ঋদ্ধিমান সাহা ও মুহাম্মদ শামিকে অন্তর্ভুক্ত করার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই বিষণ্ণ বাংলা ক্রিকেট। কারণ ঋদ্ধিমান সাহা নাকি বাংলা দলে খেলতে চাইছেন না। ঋদ্ধি এখন গুজরাতের শিবিরে। আর তার থেকেও বড় কথা কয়েকদিন বাদেই প্লে অফ খেলবে গুজরাত। আপাতত তিনি সেদিকে মনোনিবেশ করতে চান। তবে যা খবর তাতে জানা যাচ্ছে ঋদ্ধিমান অপমানিত, লাঞ্ছিত। বেশ কয়েকদিন আগে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ঋদ্ধি। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট কোচ রাহুল oাবিড় তাঁকে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন জাতীয় দলে তাঁর আর জায়গা হবে না। আর তা শুনে অভিমানী ঋদ্ধি ক্রিকেট ছাড়ার ভাবনাও ভেবেছিলেন। নিজেকে শান্ত করতে বাংলার রঞ্জি দলে খেলার ক্ষেত্রেও ‘না’ করে দিয়েছিলেন তিনি। ততদিনে তিনি গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটার। তাই আইপিএলে মনোনিবেশ করতেই বাংলা দলে খেলতে চাননি। কিন্তু সেই সময় সিএবির এক প্রথম সারির কর্তা ঋদ্ধির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন বাংলার পাপালির নাকি কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এটি শুনে ঋদ্ধিমান কিছুটা ত্রু«দ্ধ হন। তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন এরপর তাঁর পক্ষে আর বাংলা দলে থাকা বোধহয় সম্ভব নয়। কিন্তু বাংলার ক্রিকেটে ঋদ্ধিমানের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে সেটা জানেন বাংলার নির্বাচকরা। তাই রঞ্জির কোয়ার্টারের জন্য দল নির্বাচনে ঋদ্ধি ও শামিকে সামনে রেখেই দল তৈরি করেছিলেন। যদিও ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন আইপিএলের পর তিনি ভেবে দেখবেন রঞ্জি কোয়ার্টারে খেলবেন কিনা। এর মধ্যে বাদ সেধেছে আরও একটি ঘটনা। ঋদ্ধির উদ্দেশ্যে বলা সিএবি কর্তার মন্তব্যে অত্যন্ত রুষ্ট ঋদ্ধিমাড় সাহা। তিনি জানিয়েছেন সেই সিএবি কর্তা তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা না চাইলে তিনি আর বাংলার হয়ে খেলবেন না। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সিএবি সভাপতি থেকে সচিব সকলেই। কিন্তু যত দূর খবর, কারও কথাতেই ঋদ্ধিমান এখনও গলেননি। কি সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি সেদিকে তাকিয়ে থাকতেই হচ্ছে। কয়েকদিন পরেই গুজরাতের হয়ে ইডেনে প্লে অফ খেলতে আসবেন ঋদ্ধিমান সাহা। তখনই পরিষ্কার হতে পারে ঋদ্ধিমান আদৌ বাংলার হয়ে রঞ্জিতে নামছেন কিনা।