পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করল অসম সরকার। ২২ সেপ্টেম্বর, ‘বিশ্ব গণ্ডার দিবসে’ অসমে সংরক্ষিত ২৫০০ গণ্ডারের খড়্গ পুড়িয়ে দিল অসম সরকার। মূলত গণ্ডারের খড়্গ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয় বলে কুসংস্কার প্রচলিত আছে সমাজে। যার জন্য পশুশিকারিদের হাতে প্রায়শই গণ্ডার নিধন হয়ে থাকে। খড়্গ পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই চিরাচরিত কুসংস্কারকে ধবংস করে ফেলা হল। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন। খড়্গ পুড়িয়ে ফেলার চিতায় ড্রোনের মাধ্যমে আগুন দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় মৃত গণ্ডারের দেহ থেকে ও পাচার হওয়ার সময় খড়্গগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেইগুলিকে এতদিন সংরক্ষণ করে রাখা হয়ছিল।
বিপন্ন এই প্রাণীটিকে বাঁচাতে সম্প্রতি গণ্ডারের সংরক্ষিত খড়্গ ধবংসের উদ্যোগ নেয় অসম সরকার। সরকারের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরাও।
প্রায় ৪২ বছর ধরে অসমের সরকারি ট্রেজারিতে রাখা ছিল গণ্ডারের প্রায় আড়াই হাজার খড়্গ। বিশ্ব গণ্ডার দিবসে সেই খড়্গ পুড়িয়ে ফেলা হল আগুনে। মন্ত্রোচ্চারণ করে বৈদিক মতে শাঁখ বাজিয়ে ২ হাজার ৪৭৯টি খড়্গকে ৬টি বড় লোহার চিতায় জ্বালিয়ে দেওয়া হল। গুয়াহাটি থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে একটি স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা ড্রোনের মাধ্যমে ওই চিতায় আগুন দেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের বার্তা দেওয়া হয়েছে যে গণ্ডারের খড়গরের কোনও ঔষধি গুণ নেই। কোনও কুসংস্কার বা মিথের উপর ভিত্তি করে এই বিপন্ন প্রায় প্রজাতির পশুকে হত্যা না করার আবেদন জানানো হয়েছে।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরও জানান, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন এই খড়গগুলিকে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু যেভাবে বাজেয়াপ্ত হওয়া ড্রাগ আমরা বিক্রি করতে পারি না, সেরকমই বাজেয়াপ্ত হওয়া গণ্ডারের খড়্গও আমরা বিক্রি করতে পারি না। আফ্রিকাতেও এভাবেই গণ্ডারের খড়্গ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এত পরিমাণে সেখানে হয়নি। আমরা এই ব্যাপারে বিশ্ব রেকর্ড করলাম।